আজকাল ওয়েবডেস্ক: পারিবারিক বিবাদের জেরে এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। ঘটনাটি ঘটে হামিরপুরে। এক যুবক তাঁর ২৪ বছর বয়সি স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নৃশংসতার এখানেই শেষ নয়। খুনের পর অভিযুক্ত তার তিন বছরের শিশুসন্তানকে মায়ের লাশের সঙ্গেই ঘরে তালা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ রবিবার এই খবর জানিয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তোলপাড় চারিদিক।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মইনউদ্দিন৷ সে সরকারি রেশন ডিলার। বিবাদের জেরে সে তার স্ত্রী রোশ্নিকে পিটিয়ে খুন করে। খবর অনুযায়ী, মউদাহা থানা এলাকার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চারেক আগে মইনউদ্দিন ভালোবাসে রোশ্নিকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পরে তাদের মধ্যে নানা খুটিনাটি বিষয় নিয়ে বিবাদ লেগে থাকত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় রাগের মাথায় মইনউদ্দিন তার স্ত্রীর ওপর লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলেই রোশ্নির মৃত্যু হয়।
রবিবার সকালে তালা দেওয়া ঘর থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান পরিবারের সদস্যরা। এর পরই তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। ভিতরে গিয়ে তাঁরা যা দেখেন, তাতে আঁতকে ওঠেন সকলে৷ ছোট্ট শিশু তার মায়ের রক্তমাখা দেহের পাশে বসে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
ঘটনার জেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মনোজ কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, "তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে এই রাজ্যে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়ির ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। গ্রামে ফিরেই রটনা কানে এসেছিল যুবকের। যা ঘিরে অশান্তিও তুমুল হয়। শেষমেশ চরম পদক্ষেপ করলেন নিজের বাড়িতে। স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ফতেহপুরে। মৃতেরা হলেন, মুকেশ নিষাদ (৩২) এবং গুড়িয়া দেবী (২৬)। প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেন মুকেশ। সঙ্গে সঙ্গে সেই বন্দুক দিয়েই নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মুকেশ কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। দিন কয়েক আগে ফতেহপুরে বাড়িতে ফেরেন। গ্রামে ফেরার পর কানাঘুষো শোনেন, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। যা ঘিরে দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছয়। শনিবার গভীর রাতেও দম্পতির মধ্যে তুমুল বচসা হয় এই সম্পর্ক ঘিরে। সন্দেশের বশেই রাগের মাথায় চরম পদক্ষেপ করেন মুকেশ।
দেশী পিস্তল দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেন। এরপর সেই পিস্তল দিয়েই নিজেকে গুলি করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়তেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাড়িতেই অন্যান্য ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল দম্পতির তিন মেয়ে এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা। গুলির আওয়াজ পেয়েই সকলের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিবেশীরাও তড়িঘড়ি করে ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে দম্পতির রক্তাক্ত দেহ দেখেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। সেই দেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিক মহেন্দ্র পাল সিং জানিয়েছেন, দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশী পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছে। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে গ্রামেও জল্পনা রটেছিল। গ্রামে ফিরেই এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন মুকেশ। তারপর থেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি।
