আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-সহ বেশিরভাগ দেশের ক্ষমতাসীন সরকার ২০২৪ সালের নির্বাচনে হেরে গিয়েছে। গত শুক্রবার জো রোগানের জনপ্রিয় পডকাস্ট চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা তথা মেটা প্রধান মার্ক জুকারবার্গ। এ জন্য তিনি করোনার সময়কালে জনসেবা ও জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্দিকেই দায়ী করেছিলেন। যা নিয়ে সরগরম ভারতীয় রাজনীতি। শেষে আসরে নামলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে মন্ত্রীর দাবি, জুকারবার্গের মন্তব্য 'প্রকৃতপক্ষে ভুল ও হতাশজনক'।
কী বলেছিলেন মার্ক জুকারবার্গ?
পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে মেটা প্রদান বলেছিলেন, "২০২৪ সাল বিশ্বজুড়ে নির্বাচনী বছর ছিল এবং বিভিন্ন বড় দেশের সঙ্গে ভারতেও ভোট হয়েছিল। এখানে ক্ষমতাসীনরা মূলত প্রতিটি নির্বাচনেই হেরে গিয়েছে। আসলে কোভিড-কালে অর্থনৈতিক নীতির কারণে হোক বা সরকারের কোভিড মোকাবিলা করার পদ্ধতির জন্য- বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া-
জুকারবার্গের তোলপাড় ফেলা মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার মন্তব্যকে 'প্রকৃতপক্ষে ভুল' বলে দাবি করেন তিনি।এক্স হ্য়ান্ডেল পোস্টে তিনি লেখেন, "বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে, ভারত ২০২৪ সালের নির্বাচন ৬৪ কোটিরও বেশি ভোটারদের নিয়ে পরিচালিত। ভারতের জনগণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ-এর উপর তাদের আস্থা রেখেছে। জুকারমার্গের দাবি বাস্তবে বড় ভুল ৮০ কোটি ডলারের বিনামূল্যে খাবার, ২.২ বিলিয়নের বিনামূল্যে টিকা এবং কোভিড-এর সময় বিশ্বব্যাপী দেশগুলিকে সাহায্য, ভারতকে দ্রুতবর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি পর্যবসিত করা ও তার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয় মেয়াদে জয় সুশাসন এবং জনসাধারণের আস্থার প্রমাণ। জুকারবার্গের এমন ভুল তথ্য হতাশাজনক। আসুন তথ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখি।"
As the world’s largest democracy, India conducted the 2024 elections with over 640 million voters. People of India reaffirmed their trust in NDA led by PM @narendramodi Ji’s leadership.
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw)
Mr. Zuckerberg’s claim that most incumbent governments, including India in 2024 elections,…Tweet by @AshwiniVaishnaw
কেন এমন মন্তব্য জুকারবার্গের?
হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুষ্ট করতেই জুকারবার্গ এমন মন্তব্য করে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই মেটার কর্ণধারের পদক্ষেপকে "সত্যিই লজ্জাজনক" বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর সতর্কতা- যদি প্রযুক্তি জায়ান্টদের তরফে অন্যান্য দেশে জোর করে তাদের নীতি চাপানোর চেষ্টা করে তবে বিধ্বংসী পরিণতি হবে।
