আজকাল ওয়েবডেস্ক: দু'বছরের মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা এবং তাঁর ১৯ বছরের প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনা মুম্বইয়ের। পুলিশ জানিয়েছে যে, মায়ের সামনেই কিশোর শিশু কন্যাটিকে ধর্ষণ এবং বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশু কন্যাটির মা গর্ভবতী থাকাকালীন তাঁর স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। তখন থেকেই তিনি বাপের বাড়িতে থাকেন। স্বামী পরিত্যাগের ঘটনার কয়েক মাস পর ওই মহিলা মেয়েটিরজন্ম দেন। এরপরই অভিযুক্ত কিশোরের সংস্পর্শে আসেন মহিলা। ক্রমশই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠে। 

লামবনি থানার একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, বেরোজগেরে ওই কিশোর শিশুটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ জন্য শিশু কন্যাটির মায়ের কাছ থেকে অনুমতিও চেয়েছিলেন তিনি। মা হয়েও মহিলা তাঁর কিশোর প্রেমিককে নিজের শিশু কন্যাকে যৌন নির্যাতন করার অনুমতি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অপরাধের সময় মহিলাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বাচ্চা মেয়েটি যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর শিশু কন্যাটির মা এবং কিশোর প্রেমিক বাচ্চাটিকে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। আসল ঘটনা আড়াল করার জন্য, মহিলা চিকিৎসকদের জানান যে- তাঁর মেয়ে মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়েছে।

হাসপাতালে,  চিকিৎসকরা শিশু কন্যাটিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন দেখকে পাওয়ায় পুলিশে খবর দেন।

স্থানীয় থানার একজন আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, "মেয়েটির গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং তার অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপরই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করি।" দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের সময়, দু'জনেই স্বীকার করেছেন যে, মায়ের উপস্থিতিতেই প্রেমিক কিশোর শিশু কন্যাটিকে যৌন নির্যাতন করেছে।

ফরেন্সিক আধিকারিকদের একটি দল অপরাধস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তদন্তের অংশ হিসেবে শিশু কন্যা এবং অভিযুক্ত কিশোরের পোশাক বাজেয়াপ্ত করেছে।