আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। শাহাপুর তালুকার কাছে সমৃদ্ধি হাইওয়েতে ঘটনাটি ঘটে। এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এক ট্রাক চালক ও তাঁর সহকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, একটি ট্রাক রাস্তার ধারে পার্ক করে রাখা ছিল, সেই সময় নাগপুর থেকে মুম্বইগামী আরেকটি বেপরোয়া ট্রাক পিছন দিক থেকে এসে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকে সজোরে ধাক্কা মারে।

পুলিশ জানিয়েছে, চলন্ত ট্রাকের চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এর ফলে তিনি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলস্বরূপ পার্ক করা ট্রাকের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ এতটাই ভয়ংকর ছিল যে চলন্ত ট্রাকের একটি লোহা নির্মিত অ্যাঙ্গেল ঢুকে পড়ে ক্যাবিনে, ঘটনাস্থলেই চালক ও তাঁর সহকারীর মৃত্যু হয়।

রেসকিউ টিম এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে শাহাপুর সাব-ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে এবং একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ফলে হাইওয়েতে অল্প সময়ের জন্য যানজট তৈরি হয়েছিল, তবে পরে তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: দত্তকের নামে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে একের পর এক দুগ্ধপোষ্য শিশু! যোগীরাজ্যে ফাঁস নয়া কেলেঙ্কারি

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, দুর্ঘটনার পেছনে ঘুমিয়ে পড়া বা নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় ড্রাইভ করাই মূল কারণ। বর্তমানে শাহাপুর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।

এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হিন্দু হৃদয়সম্রাট বালাসাহেব ঠাকরে মহারাষ্ট্র সমৃদ্ধি মহামার্গে। সূত্র অনুযায়ী, এটি নাগপুর ও মুম্বইকে সংযুক্তকারী ৭০১ কিমি দীর্ঘ একটি এক্সেস-কন্ট্রোলড এক্সপ্রেসওয়ে। ছয় লেনের এই মহাসড়কটি ভবিষ্যতে আট লেনে সম্প্রসারণযোগ্য হিসেবে নির্মিত হয়েছে। মহাসড়কটির সব অংশ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়, যদিও প্রাথমিক পর্যায়গুলি ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই উদ্বোধন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: 'আমাকে বাঁচাও বাবা', মেয়ের আর্তনাদ! প্রকাশ্যে পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা! নিজেই দগ্ধ শরীরে স্কুটি চালিয়ে হাসপাতালে গেলেন যুবতী, নারী হত্যায় ফের প্রশ্নে যোগী

প্রসঙ্গত এর আগেও জুলাই মাসে সমৃদ্ধি হাইওয়েতে করঞ্জা এলাকার কাছে এক গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারলে একটি পরিবারের চার সদস্য প্রাণ হারান। খবর অনুযায়ী ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ২,৫০০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৩৫টি মারণাত্মক, এবং এতে ২২৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।