আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্রেনে উঠলেই দেখা মেলে, নিয়ম করে কড়া নজর বুলিয়ে পরীক্ষা করে যান, যাত্রীরা ঠিকঠাক টিকিট কেটে উঠেছেন কিনা। কেউ কেউ ফাঁকি দিয়ে উঠে পড়েন ট্রেনে, সঙ্গে সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা। কিন্তু টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধেই এবার বড় অভিযোগ। টিকিট পরীক্ষা করার সময়, যাত্রীর ফোন নম্বর জোগাড় করে লাগাতার আপত্তিকর মেসেজ পাঠান বলে অভিযোগ। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে বড় পদক্ষেপ কর্মীর বিরুদ্ধে।
ঘটনা কী? অভিযোগ, তরুণী বারাণসী থেকে ঝাঁসি যাচ্ছিলেন। বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসের টিটি ছিলেন যিনি, তিনি টিকিট পরীক্ষা করার পর নানা ধরনের অশালীন অঙ্গভঙ্গী করেন। তরুণী এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, অঙ্গভঙ্গী বাড়ে বই কমে না।
পরিস্থিতি জটিল হয় তারও পরে। মাঝরাস্তায় আচমকা হোয়াটসঅ্যাপে অস্বস্ত্বিকর মেসেজ পেতে শুরু করেন। কিন্তু সেই নম্বর কার? মোবাইল অ্যাপে খোঁজ শুরু করতেই জানতে পারেন ট্রেনের ওই টিটিই রামলক্ষণ মীনা ওই মেসেজ পাঠাচ্ছেন, যিনি কিছুক্ষণ আগেই অশ্লীল মেসেজে বিব্রত করছিলেন তাঁকে।
অভ্যন্তরীণ তদন্তে মহিলার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়। প্রমাণ থেকে জানা গিয়েছে টিটিই মীনা তাঁর রিজার্ভেশনের বিবরণ থেকে যাত্রীর মোবাইল নম্বরটি সংগ্রহ করেছিলেন, যা তিনি তার হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করেছিলেন।
সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আমান ভার্মা ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘টিটিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস থেকে যাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা একটি গুরুতর অপরাধ। টিটিইকে ট্রেনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, পার্সেল অফিসে পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছে।‘
