আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামী স্ত্রীকে ভিডিও কলে তিন তালাক দিয়েছেন এমনটাই অভিযোগ। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, পণের অভিযোগে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁর স্বামী। একইসঙ্গে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং মুসলিম বিলের বিভিন্ন ধারার অধীনে একটি মামলাও রুজু করেছেন তাঁরা। ঘটনাটি মুম্বইয়ের।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী ইউনাইটেড কিংডমে থাকেন। তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি সারাক্ষণ স্ত্রীকে পণ নিয়ে চাপ দিতেন। বিয়ের পর প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল, এরপর তাঁরা যখনই শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তখনই বাঁধে বিপত্তি।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ওই দম্পতি। বিয়ের পর ওয়াদালাতে তাঁরা থাকতেন। এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। অত্যাচার চরমে পৌঁছায় যখন স্ত্রীও তাঁর সঙ্গে ঘুরতে যান ইউকেতে।
ওই মহিলা এমনকী এও অভিযোগ জানান, তাঁর স্বামী তাঁর কাছ থেকে গয়না কেড়ে নেন। এরপর তাঁকে ভারতে পাঠিয়ে দেন। ভারতে ফেরার পর বাঁধে আরও গণ্ডগোল। তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মুসলিম বিবাহ আইন অনুযায়ী, তিন তালাক দিলে এই বিবাহবিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হয়। সেইভাবেই বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
যদিও ২০১৭ এর পাঁচ অগস্ট বিচারপতির এসসির বেঞ্চ অন্য একটি মামলায় জানিয়েছিল এইভাবে বিবাহবিচ্ছেদ অনুচিত এবং অসাংবিধানিক। এই কাজের জন্য তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে।
