আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু। অভিযোগ, এই প্রসাদী লাড্ডুর মধ্যে নিম্নমানের উপকরণ, মাছের তেল এবং পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত। সাময়িকভাবে পুণ্যার্থীদের মধ্যে প্রভাব ফেললেও, লাড্ডু বিক্রিতে কোনও প্রভাব পড়ল না। বরং অভিযোগের পর লক্ষ লক্ষ লাড্ডু বিক্রি হচ্ছে মন্দিরে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত চারদিনে ১৩ লক্ষের বেশি প্রসাদী লাড্ডু বিক্রি হয়েছে। ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৩ লক্ষ লাড্ডু বিক্রি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর তিরুপতির লাড্ডু ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। এর ঠিক পরেরদিন ২০ সেপ্টেম্বর তিন লক্ষের বেশি লাড্ডু বিক্রি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দাবি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের শাসনকালে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুতে পশুর চর্বি থাকত। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসার পর খাঁটি ঘি দিয়েই তৈরি হয় মন্দিরের লাড্ডু। নাইডু বলেন, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের আমলে তিরুপতি মন্দিরের বিশেষ যত্ন নেওয়া হত না। এমনকী মন্দিরের লাড্ডু ঘিয়ের পরিবর্তে পশুর চর্বি দিয়ে তৈরি হত। তাই খেতেন পুণ্যার্থীরা।
এরপরই লাড্ডুর গুণমান পরীক্ষা করা হয়। জানা গিয়েছে, লাড্ডুতে নিম্নমানের ঘি ব্যবহার করা হত। তিরুপতি মন্দিরে নিম্নমানের ঘি দেওয়ার জন্য তামিলনাড়ুর একটি কোম্পানিকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে এফএসএসএআই। যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, বিতর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না ভক্তরা। লাড্ডু আগের মতোই দেদার বিক্রি হচ্ছে।
