আজকাল ওয়েবডেস্ক:  রণথম্ভোরের গর্ব, প্রবাদপ্রতিম বাঘিনী অ্যারোহেড (T-84) আর নেই। ১৪ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে। তাঁর মৃত্যু এমন এক সন্ধিক্ষণে এলো, যখন তাঁর কন্যাকে অন্য অভয়ারণ্যে স্থানান্তর করা হয়েছে—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের আবেগঘন পরিসমাপ্তি।

বাঘিনী অ্যারোহেডের জীবনের শেষ মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন বিশিষ্ট বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী সচিন রায়। তিনি ইনস্টাগ্রামে এক আবেগময় ভিডিও ও বার্তা শেয়ার করে লেখেন, “১৭ জুন সন্ধ্যায় পদম তালাবের পাড়ে অ্যারোহেডকে শেষ হাঁটাচলা করতে দেখেছিলাম। দুর্বল পায়ে কষ্ট করে কয়েক কদম হেঁটে একটা গাছের নিচে লুটিয়ে পড়েছিল সে। বুঝে গিয়েছিলাম—শেষ সময় এসে গিয়েছে।”

তিনি আরও লেখেন, “ছোট্ট এক ছানা হিসেবে তাকে দেখেছি, নিজের মায়ের এলাকা দখল করে কেমন রাজকীয়ভাবে রাজত্ব করেছে, তা নিজের চোখে দেখা। শক্তি, সৌন্দর্য আর সাহসের এক প্রতীক ছিল অ্যারোহেড।”

বাঘিনী কৃষ্ণার (T-19) কন্যা এবং কিংবদন্তি মচ্ছলির (T-16) নাতনি অ্যারোহেড ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিল বহুদিন ধরে। তাঁর মৃত্যু শুধু একটি প্রাণের অবসান নয়, রণথম্ভোরের এক বাঘিনী রাজবংশের অবসান—যা যুগের পর যুগ ধরে প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যে এক অনন্য সংযোগ গড়ে তুলেছিল।

রণথম্ভোর আজ শোকস্তব্ধ।