আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথ অভিযানে এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উধমপুর জেলার বসন্তগড়ে এক সংঘর্ষে হত্যা হয়। 'অপারেশন বিহালি' নামে পরিচিত সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস জানিয়েছে যে সন্ত্রাসীকে 'নিরপেক্ষ' করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। আজ সকালে অভিযান শুরু করা হয়। অমরনাথ যাত্রার আগে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর ১৮০ কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে।
৩৮ দিনব্যাপী যাত্রা ৩ জুলাই দুটি রুট থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। অনন্তনাগ জেলার ঐতিহ্যবাহী ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পাহালগাম রুট এবং গান্দেরবাল জেলার ১৪ কিলোমিটার ছোট কিন্তু খাড়া বালতাল রুট। দক্ষিণ কাশ্মীরের হিমালয়ে অবস্থিত ৩,৮৮০ মিটার উঁচু পবিত্র গুহা মন্দির অমরনাথের উদ্দেশে এই যাত্রা৷ ২২ মে জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতোয়ারে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন সেনা নিহত হন। ওই একই এলাকায় চারজন সন্ত্রাসী আটকা পড়েছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরে একটি অভিযানে ছয়জন সন্ত্রাসীকে নির্মূল করার এক সপ্তাহ পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২২শে এপ্রিল পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে এই হামলায় জড়িত কিছু সন্ত্রাসী পাকিস্তানি ছিল। ভারত প্রতিক্রিয়ায় অপারেশন 'সিন্দুর' শুরু করে। মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার সদর দপ্তর এবং বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর সহ দেশের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায়। পাকিস্তান পরপর তিন দিন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শেষমেশ ব্যর্থ হয়।
