আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছোট থেকেই বাইকের প্রতি প্রেম। তাঁর বাইক স্টান্ট দেখেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যেত নেটিজেনদের। সেই প্রিয় বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়তেই মর্মান্তিক পরিণতি হল তরুণের। বেপরোয়া গতিই কেড়ে নিল ১৮ বছরের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারের প্রাণ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণের নাম, প্রিন্স প্যাটেল। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় একজন ইনফ্লুয়েন্সার ছিলেন। বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে, বাইক স্টান্ট দেখিয়েই জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিলেন তিনি। ১৮ বছর বয়সি তরুণ সেদিন কেটিএম ডিউক মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন। বেপরোয়া গতিই তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন প্রিন্স। সেদিন ১৪০ কিমি বেগে বাইক চালিয়েছিলেন। ব্যস্ত সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তাতেই ঘটে বিপত্তি। বাইকটি উল্টে যায়। কয়েকশ মিটার সেই অবস্থাতেই প্রিন্সকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় বাইকটি। এরপর বাইক থেকে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়েন তিনি।
রাস্তায় গড়াতে গড়াতে দূরে ছিটকে পড়তে দেখা গেছে প্রিন্সকে। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় শরীর থেকে তাঁর মাথাটি আলাদা হয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বর মাসেই বাইকটি কিনেছিলেন তিনি। প্রিন্স অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাইক স্টান্টের জন্য বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। যে বাইকের প্রতি ভালবাসাই জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলেছিল তাঁকে, সেটিই কেড়ে নিল প্রিন্সের প্রাণ।
গত মাসেই বেপরোয়া গতির জেরে আরেকটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। জন্মদিনের পার্টি সেরে আর বাড়ি ফেরা হল না। বেপরোয়া গতির বলি পাঁচ বন্ধু। রবিবার ভোরবেলায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই একসঙ্গে মার গেছেন তাঁরা। দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছে খোদ পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোরবেলায় মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালিয়র-ঝাঁসি হাইওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বেপরোয়া গতির গাড়ি। এসইউভি গাড়িতে ছিলেন একদল যুবক। তাঁরা সকলেই একে অপরের বন্ধু ছিলেন। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মারওয়া কলেজের সামনে ভোর ছ'টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গাড়িটিও বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। আচমকা দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালিবোঝাই ট্র্যাক্টরে সজোরে ধাক্কা দেয়। নিমেষে দুমড়ে মুচড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে গাড়ির বিভিন্ন অংশ। গাড়ির সকল যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলে। পাঁচ বন্ধুই গোয়ালিয়রের বাসিন্দা ছিলেন।
জানা গেছে, গাড়িটি ঝাঁসি থেকে গোয়ালিয়রের দিকেই যাচ্ছিল। জন্মদিনের পার্টি সেরে সকলে একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গাড়িটি ১২০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর গাড়িটি এমনভাবে দুমড়ে যায়, যা একনজরে দেখে চেনাও যায়নি। ট্র্যাক্টরের তলায় পিষে যায় খানিকটা। দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর পরিণতিতে পুলিশের চোখ কপালে।
মৃত পাঁচজনের বয়স ২৫ বছরের আশেপাশে। তাঁদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। ট্র্যাক্টরের চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
