আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবার বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী ছাত্রী। ঘটনা তামিলনাড়ুর ভিলুপ্পুরমের। জানা গিয়েছে, ১৯ বছর বয়সি ইন্দু নিট মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সম্প্রতি ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনের সময় তিনি ভুল পিন দিয়ে ফেলেন। যার জেরে ছাত্রীর বাবা  চিৎকার করে মেয়েকে বকুনি দেন। এরপরই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে। 

ইন্দুর বাবা ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে একটি সরকারি কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে তিনি মেয়েকে ফোন করে পিন নম্বর জানতে চান। যা আবেদনের অংশ হিসাবে পড়ুয়ার ফোনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দু'বারই তরুণী ভুল পিন বলেন। যদিও অনেক কষ্টে কাজ হাসিল করে ইন্দুর বাবা বাড়ি ফেরেন। এরপর মেয়ের ভুলের জন্য চিৎকার শুরু করেন। কীভাবে এমন কাজ করল তা জানতে চাওয়া হয়। 

ইন্দুর মৃত্যুর পর দাবি করা হয়েছিল, পরীক্ষা দেওয়ার ভয়েই আত্মহত্যা করেছেন তরুণী। কিন্তু ঘটনার তদন্তে নেমে সত্য জানতে পারে পুলিশ।

গ্রামেরই একটি সরকারি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাস করে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ইন্দু। পুদুচেরির একটি বেসরকারি ইনস্টিটিউটে কোচিংও করছিলেন। তবে গত বছর পরীক্ষা দিলেও পাস করতে পারেননি। তাই চলতি বছর ফের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁর প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু তারমধ্যেই সব শেষ। 

ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বাবার বকাবকির কারণেই এমন কাণ্ড নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য- তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।