আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক হাজার কেজি সোনা গলিয়ে সেখান থেকে তৈরি করা হল সোনার বার। এই সোনা ভক্তরা ২১ টি মন্দিরে দান করেছিলেন। সেখান থেকে এগুলিকে ব্যবহার করল তামিলনাড়ু সরকার। 


গলিয়ে ফেলা সোনা থেকে সোনার বার তৈরি করার পর সেগুলিকে ব্যাঙ্কে জমা রাখল তামিলনাড়ু সরকার। এরপরই সেখান থেকে বছরে ১৭.৮১ কোটি টাকা সুদ পাবে তারা। এই সমস্ত সোনা তামিলনাড়ুর ২১ টি মন্দিরে ভক্তরা দান করেছিলেন। এগুলিকে সবই ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে রেখে দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। সেখান থেকে তারা এবার সুদ পাবে।


তামিলনাড়ুর এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্দিরে যে সোনা দান করা হয়েছিল সেগুলির সুরক্ষা নিয়ে তারা চিন্তিত ছিল। সেখান থেকে তারা বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরেই চিন্তাভাবনা করছিল। তাই সেগুলিকে একসঙ্গে গলিয়ে নিয়ে সেখান থেকে সোনার বার তৈরি করা হয়েছে। এবার এই টাকা সরকার রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়েন খাতে খরচ করবে। 


এই বিষয়ে যাতে কোনও ভ্রান্তি না তৈরি হয় সেজন্য ইতিমধ্যেই একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তিনজন অবসরপ্রান্ত বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা গোটা বিষয়টি দেখভাল করবেন। 


যে খবর পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে ২১ টি মন্দির থেকে ১০ লাখ ৭৪ হাজার ১২৩.৪৮৮ গ্রাম আসল সোনা পাওয়া গিয়েছে। এই সমস্ত সোনাকে গলিয়ে সেখান থেকে তৈরি করা হয়েছে সোনার বার। সেখান থেকেই এবার সুদের মোটা টাকা পাবে তামিলনাড়ু সরকার।


তামিলনাড়ু সরকার জানিয়েছে, মন্দিরের সোনা থেকে পাওয়া সুদের অর্থ মন্দিরের উন্নয়নের জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত মন্দিরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন পুজোপার্বণে ওই টাকা খরচ হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তিনটি আঞ্চলিক কমিটি গঠন করেছে সরকার। প্রতিটি কমিটির মাথায় আছেন এক জন করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। সোনা বিনিয়োগের প্রকল্পের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন তাঁরা।


মন্দিরের সোনা বিনিয়োগের এই প্রকল্প মাঝে থমকে গিয়েছিল। সরকারের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর ২০২১-২২ সাল থেকে আবার তা চালু হয়েছে। তবে শুধু সোনা নয়, পরবর্তীকালে তামিলনাড়ু সরকার মন্দিরের রুপো বিনিয়োগের কথাও ভাবছে। অব্যবহৃত বা ব্যবহার-অযোগ্য রুপো, যা বিভিন্ন সময়ে ভক্তেরা দান করেছেন, সেগুলি গলিয়ে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা হবে। সেখান থেকেও আয়ের ভাবনা রয়েছে সরকারের।