আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের ড্রোন হামলার ফের কড়া জবাব দিল ভারত। ভারত রফিকি, মুরিদ, চাকলালা এবং রহিম ইয়ার খানে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে নির্ভুল বিমান হামলা চালিয়েছে। এনডিটিভি সূত্রে খবর, সুক্কুর ও চুনিয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বেস, পসরুরে একটি রাডার সাইট এবং শিয়ালকোট বিমান ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়েছে।


বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে সঙ্গে নিয়ে সরকারি বিবৃতিতে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান, ভারতের পশ্চিম সীমান্তে আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতকে উস্কে দিচ্ছে। স্থানীয় এলাকা এবং সামরিক বেস লক্ষ্য করে পাকিস্তান মানুষহীন যুদ্ধ বিমান, দূরপাল্লার অস্ত্র, বিমান ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সফলভাবে এই হামলা এবং বেশিরভাগ অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করেছে। তবে  উধমপুর, পাঠানকোট, আদমপুর এবং ভূজে ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্টেশনের সরঞ্জাম এবং ব্যক্তিদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, একটি নিন্দনীয় এবং কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ডে পাকিস্তান একটি মেডিক্যাল সেন্টার এবং স্কুল সহ স্থানীয় এলাকায় আক্রমণ করেছে। দ্রুত এবং সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা করে  ভারতীয় বিমান বাহিনী কেবলমাত্র চিহ্নিত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আক্রমণ চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্র, কমান্ড এবং কন্ট্রোল কেন্দ্র, রাডার সাইট এবং অস্ত্র সংরক্ষণ এলাকায় আক্রমণ করেছে ভারত। রফিকি, মুরিদ, চাকলালা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ায় পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আমাদের যুদ্ধবিমান থেকে নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। পাসরুর এবং শিয়ালকোট বিমান ঘাঁটিতে রাডার সাইটেও নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা করা হয়েছিল। তবে ভারতের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। 


উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, পাকিস্তানের ভুল তথ্য প্রচার করেছে। ভারতের এস ৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সুরতগড় ও সিরসায় বিমানঘাঁটি, নাগরোটায় ব্রহ্মোস ঘাঁটি এবং চণ্ডীগড়ে ফরোয়ার্ড গোলাবারুদ ডিপো ধ্বংসের মতো দাবির কথা উল্লেখ করেছে। তবে এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। 


তিনি বলেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারী গোলাবর্ষণ করছে এবং স্থানীয় এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সঠিকভাবেই এর জবাব দিয়েছে। 


তিনি বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে সরিয়ে নিয়েছে  যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করার দিকে ইঙ্গিত দেয়। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উচ্চ পর্যায়ের অপারেশনাল প্রস্তুতির জন্য তৈরি রয়েছে। সমস্ত প্রতিকূল পদক্ষেপ সঠিকভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং যথাযথভাবে তার জবাব দেওয়া হয়েছে।