আজকাল ওয়েবডেস্ক: খোরপোশ কোনও দান বা খয়রাতি নয়, এটি মহিলাদের অধিকার এবং তা ধর্মনিরপেক্ষভাবে। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল সেকথা। এক মহিলার দায়ের করা মামলায়, সুপ্রিম রায় জিতলেন তাঁরা।

 বিবাহবিচ্ছিন্না এক মুসলিম মহিলা বিচ্ছেদের পর আবেদন জানিয়েছিলেন খোরপোশের। পারিবারিক আদালত এই মামলায় মহিলার পক্ষে রায় দিলে স্বামী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যান তেলেঙ্গানার হাই কোর্টে। উচ্চ আদালতও একই রায় বহাল রাখলে তিনি যান শীর্ষ আদালতে। তবে বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতও জানিয়ে দিল, বিবাহবিচ্ছিন্না মুসলিম মহিলারাও এবার থেকে স্বামীর কাছে খোরপোশ পেতে পারবেন। এটা কোনও দান বা খয়রাতি নয়, এটা তাঁদের অধিকার।

বুধবার বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন ও বিচারপতি অগাস্টাইন জর্জ মাসিহর বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বুধবার শীর্ষ আদালত জানাল, কোনও বিবাহবিচ্ছিন্না মুসলিম মহিলা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারায় খোরপোশ চাইতে পারবেন। এবং একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, মুসলিম মহিলাদের এই বিবাহবিচ্ছেদ এবং খোরপোশের অধিকার সংক্রান্ত আইন কোনওভাবেই চাপা দিতে পারে না ধর্মনিরপেক্ষ আইনকে।। এই রায় কেবল মুসলিম মহিলা নয়, সকল মহিলাদের জন্যই প্রযোজ্য। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানায়, ‘ফৌজদারি আইনের ১২৫ ধারা সমস্ত মহিলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, কেবল বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রেই নয় ।‘