আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছেলে মানিব্যাগ চুরি করেছে, সেই অভিযোগ উঠেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে নাকি খারাপ সঙ্গ হয়েছিল। সবমিলিয়ে, ছেলেকে পথে আনতে মাঝে মাঝেই বকাঝকা করতেন বাবা। তখনও বুঝতেই পারেননি, ছেলে দিন রাত ভাবছে প্রতিশোধের কথা।
বিনীত কুমার। বয়স ৪৫। এত কাছ থেকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল যে, খুলি ফেটে চৌচির হয়ে যায়, তেমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। বিনীত হিমাচল প্রদেশের, ধর্মশালার এক প্রাক্তন প্রধানের ভাই। ধর্মশালা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে সুধেদ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তারাইলা গ্রামে এই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। তাঁর খুনের ২৪ ঘণ্টার মাথায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। মূল অভিযুক্তর বয়স ১৭। বিনীতের ছেলে। রবিবার গভীর রাতে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে বাবাকে খুনের দায়ে ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'মৃত'দের সঙ্গে বসে চা খাচ্ছেন রাহুল গান্ধী, খবর চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল, সত্যিটা কী?...
তদন্তে একে একে যা তথ্য উঠে আসছে, তাতে রীতিমতো অবাক তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ জানিয়েছে, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া, বিনীতের ছেলে, তাঁর লাইসেন্সকৃত বন্দুক নিয়ে, একেবারে সামনে থেকে মাথায় গুলি চালায়। সেই সময় ঘরে কেউ ছিল না। মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট ঢেকে ব্যাগে বাবার মাথার খুলির টুকরো কুড়িয়ে, একটি ব্যাগে জামা-কাপড়, নগদ টাকা পয়সা, গুলির খোল সব নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশের বক্তব্য, ওই তরুণ সাম্প্রতিক সময়ে অসৎসঙ্গে পড়েছিল। তার বিরুদ্ধে বেশকিছু চুরির অভিযোগও উঠেছিল। সেই কারণেই বিনীত মাঝে মাঝেই ছেলেকে বকাঝকা করতেন। প্রাথমিক তদন্তের পর, পুলিশের ধারণা, এই হত্যা একেবার পূর্বপরিকল্পিত। এর আছে ছেলে ফোনে প্রতিশোধ্মূলক নানা ভিডিও দেখেছিল বলেও জানতে পারে পুলিশ। বিনীতের ভাই, রাতে বাড়ি ফিরে তাঁকে রক্তের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তৎক্ষণাৎ খবর দেন পুলিশে।
সামনে এসেছে কর্ণাটকের এক নৃশংস খুনের ঘটনা। ৩৯ বছর বয়সি এক যুবককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর ছোটবেলার বন্ধুর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বাড়ি ঢুকেই যুবককে খুন করে তাঁর বাল্যবন্ধু।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত যুবকের নাম, বিজয় কুমার। অভিযুক্ত যুবকের নাম, ধনঞ্জয় ওরফে জয়। গত তিন দশক ধরে তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বেঙ্গালুরুর মাগাড়িতে বেড়ে উঠেছেন দুই বন্ধু।
দশ বছর আগে আশা নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বিজয়। তখন থেকেই তাঁরা কামাক্ষীপল্যতে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজয় জানতে পারেন, ধনঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত আশা। দু'জনকে আপত্তিকর অবস্থায় একদিন দেখেও ফেলেছিলেন। আশার ফোনে দু'জনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও দেখেন বিজয়। এরপরই তুমুল দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
বিয়ে টিকিয়ে রাখতে স্ত্রী আশাকে নিয়ে মাচোহাল্লিতে চলে যান বিজয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেও ধনঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন আশা। দু'জনের প্রায়ই কথা হত। বিষয়টি জানতে পেরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বিজয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন তিনি। সেই রাতেই ওই এলাকায় বিজয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ও স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই বিজয়কে খুন করা হয়েছে। সম্ভবত এই খুনটি আশা ও ধনঞ্জয় পরিকল্পনামাফিক করেছেন। আশাকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ধনঞ্জয় পলাতক।
