আজকাল ওয়েবডেস্ক: পেশায় শিক্ষিকা, বয়স বছর ৩৫। অভিযোগ গুরুতর। আর সেই অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরই ছাত্রের বাবা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে রীতিমতো ছিছিক্কার।
ঘটনাস্থল নবি মুম্বই। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নাবালক ছাত্রের সঙ্গে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ভিডিও কল করা-সহ একাধিক অভিযগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। নাবালক পড়ুয়ার বাবা এগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হতেই, ৩৫ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
অভিযোগ ঠিক কী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে? পুলিশ সূত্রের খবর, ওই শিক্ষিকা দির্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ার একাধিক প্ল্যাটফর্মে, বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে ওই ছাত্রকে একাধিক যৌন উত্তেজনাপূর্ণ এসএমএস পাঠাচ্ছিলেন। তারপরেই নাকি আচমকা শিক্ষিকা মেসেজ ছেড়ে ভিডিও কল-এর পথ ধরেন। অভিযোগ, ছাত্রকে ভিডিও কল করার সময় তিনি প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় থাকতেন। একই সঙ্গে পড়ুয়ার বাবার অভিযোগ, ভিডিও কল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কেবল একদিন করেননি শিক্ষিকা। দিনের পর দিন, একাধিকবার একই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। একটা সময় পরে, পড়ুয়া গোটা ঘটনা জানায় তার পরিবারকে।
ছেলের মুখে ঘটনা জানার পরে আর কালবিলম্ব করেননি দম্পতি। সূত্রের খবর, ঘটনা জানার পরেই পড়ুয়ার বাবা-মা পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, শিক্ষকের কার্যকলাপ ছেলেটির মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর তেমনটাই। তারপরেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়।

অভিযোগ দায়ের এবং মামলা দায়েরের পরেই পুলিশ ওই শিক্ষিকাকে আটক করে। তদন্তের অগ্রগতিতে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, শিক্ষিকার তাঁর ছাত্রদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণের ইতিহাস রয়েছে কিনা। অর্থাৎ তিনি আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা। জানা গিয়েছে, আরও তথ্য প্রমাণ খুঁজতে পুলিশ ওই শিক্ষিকার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিও স্ক্যান করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, পরূয়া ছাড়া অন্য কাউকে এই ধরনে মেসেজ কিংবা ভিডিও কল তিনি করে থাকেন কি না।
দিন কয়েক আগে, প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে খাস মুম্বইয়েই। দিন কয়েক আগেই প্রকাশ্যে আসা অভিযোগে জানা যায়, মুম্বইয়েই ৪০ বছর বয়সী এক মহিলা শিক্ষিকা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একাধিকবার ১৬ বছর বয়সী এক পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতন করেছেন। অভিযোগ উঠতেই ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধেও পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল।
ওই ঘটনায় জানা গিয়েছিল, অভিযুক্ত শিক্ষিকা পুলিশকে জেরায় জানান, স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সভায় একাধিকবার দেখার পর তিনি কিশোরের প্রতি আকৃষ্ট হন। ছেলেটি প্রথমে অনিচ্ছুক ছিল এবং তাঁকে একপ্রকার এড়িয়ে চলত। উপায় খুঁজতে শিক্ষিকা সাহায্য নেন ওই পড়ূয়ার এক বান্ধবীর। যে সহপাঠী ওই কিশোরকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করত, ইদানিং কালে বয়স্ক মহিলাদের সঙ্গে কিশোরদের শারীরিক সম্পর্কর বিষয়টি খুব সহজ হয়ে উঠেছে।
ঠিক তার কয়েক সপ্তাহ পরে মুম্বইয়েই প্রকাশ্যে এল প্রায় একই ধরনের ঘটনা।
