আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির মধ্যেই খেলাধুলা। খেলতে খেলতেই মর্মান্তিক পরিণতি সাত বছরের নাবালিকার। হঠাৎ আলমারির মধ্যে আটকে পড়েছিল সে। বন্ধ আলমারি খুলে আর বেরোতে পারেনি। তার চিৎকার শুনতে পাননি কেউ। শেষমেশ সেই বন্ধ আলমারির মধ্যে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের মেহসানা জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খাদি শহরের বাসিন্দা ছিল ওই নাবালিকা। বাড়িতেই খেলাধুলা করার সময় বিপত্তি ঘটে। খেলতে খেলতে আচমকাই আলমারির মধ্যে লুকিয়ে পড়ে সাত বছর বয়সি নাবালিকা। সেই আলমারি ভিতর থেকে বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় নাবালিকা। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নাবালিকার বাবা তুষারভাই সুরভেবংশী আদতে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন। কাজের সূত্রে গুজরাটে থাকেন। ঘটনার দিন তিনি কাজের জন্য বাইরেই ছিলেন। অন্যদিকে ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাঁর স্ত্রী স্বাতীবেন। মেয়েকে টেলিভিশনের সামনে বসিয়ে ছাদে শুকনো জামাকাপড় তুলতে গিয়েছিলেন। ঘরে এসেই মেয়েকে আর দেখতে পাননি। তন্নতন্ন করে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। 

এরপর ঘরের ওই কাঠের আলমারি খোলেন। সেখানেই মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান। তড়িঘড়ি করে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাঠের আলমারিতে আটকেই শ্বাসরোধ হয় নাবালিকার। তার জেরেই মর্মান্তিক ঘটে। 

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। স্কুলের মধ্যে বিড়াল ধরার জন্য ছোটাছুটি করছিল দেড় বছরের শিশুকন্যা। বিড়ালের পিছু নিতে গিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে স্কুলের রান্নাঘরে। দৌড়তে দৌড়তে হঠাৎ পা ফসকে উল্টে পড়ে ফুটন্ত দুধের পাত্রে। দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াইয়ের তিনদিন পর হার মানল সে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে শিশুকন্যার। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরম জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোরাপাদু গ্রামের এক গুরুকুল স্কুলে ফুটন্ত দুধের পাত্রে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছিল ১৬ মাসের এক শিশুকন্যা। দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ সেপ্টেম্বর। দেড় বছরের শিশুকন্যা স্কুলেই একটি বিড়াল ধরার জন্য ছোটাছুটি করছিল। দৌড়তে দৌড়তে স্কুলের রান্নাঘরে ঢুকেই ফুটন্ত দুধের পাত্রে অসাবধানতাবশত পড়ে যায়। দগ্ধ অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে তার। 

পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেড় বছরের শিশুকন্যা গোটা শরীর পুড়ে গিয়েছিল। তার মা স্কুলে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। কফি তৈরি করার জন্য স্কুলের রান্নাঘরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পান। ছুটে গিয়েই দেখেন ফুটন্ত দুধের পাত্রে মেয়ে পড়ে গেছে। ঠান্ডা জল ঢেলেই প্রথমে তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতেই অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাকে‌। এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।