আজকাল ওয়েবডেস্ক: সদগুরু জগ্গি বাসুদেবের 'ইশা ফাউন্ডেশন' নিয়ে আবারও বিতর্ক। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বেশ কিছু ইমেলের ভিত্তিতে আশ্রমে নাবালক মেয়েদের সঙ্গে অসদাচরণ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আশ্রমে ব্রহ্মচর্যের দীক্ষা দেওয়ার সময় নাবালক মেয়েদের সঙ্গে যে অনৈতিক আচরণ করা হয়, তা নিয়ে ইমেল কথোপকথনে ইশার মা প্রদ্যূতা সদগুরুর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ইমেল থেকে জানা যায়, মেয়েদের ঊর্ধ্বাঙ্গের পোশাক খুলতে বলা হত, যা তাঁদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করত।
সমাজকর্মী ও সাংবাদিক শ্যাম মীরা সিং এই ইমেলগুলির স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন। মা প্রদ্যূতা ইমেলে লেখেন, নাবালক মেয়েদের এমন কাজ করতে বাধ্য করা বিপজ্জনক, যা তাঁরা ভবিষ্যতে মা-বাবা বা শিক্ষকদের জানিয়ে দিতে পারে। এর জবাবে ইশা ফাউন্ডেশনের আধিকারিকদের তরফে বলা হয়, এই অনুশীলন সম্পর্কে তাঁরা জানতেন না এবং এটি বন্ধ করার জন্য প্রদ্যূতাকে ধন্যবাদ জানান।
এই ইমেলের কথোপকথন ফাঁস হতেই তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরে সমাজকর্মী পীযূস মানুষ এফআইআর দায়ের করেছেন। পাশাপাশি, পকসো আইনে তদন্তের দাবিও উঠেছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের কাছেও নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।
এর আগেও ইশা ফাউন্ডেশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল, যেখানে দুই মেয়েকে আশ্রমে বন্দি করে রাখার অভিযোগ সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করেছিল। এছাড়া, প্রাক্তন শিক্ষক যামিনী রাগানি ও তাঁর স্বামী সত্য এন রাগানি আশ্রমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের যৌন নিগ্রহ এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন, যা নিয়েও তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল।
