অরিন্দম মুখার্জি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি ঝাড়খণ্ডের রাঁচি বিমানবন্দর থেকে পতাকা উত্তোলন করে টাটানগর থেকে পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন। সেই বন্দে ভারতেই এবার গড়া হল নতুন ইতিহাস। ভারতবর্ষে, এই প্রথম কোন আদিবাসী মহিলা বন্দে ভারত চালিয়ে টাটানগর থেকে পাটনা নিয়ে গেলেন সকল যাত্রীদের। এর আগে ভারতবর্ষে বহু মহিলা ট্রেন চালালেও কোনও আদিবাসী মহিলা ট্রেন চালাননি।
বন্দে ভারত চালিয়ে সেই ইতিহাস গড়লেন ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসিন্দা রীতিকা তীরকি। রীতিকা ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার মেয়ে। পড়াশোনা শেষ করে বি আই টি মিশ্রা থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করে সে। তারপর ২০১৯ সালে সাউথ ইস্টার্ন রেলের চক্রধরপুর ডিভিশনে সানটার হিসাবে রেলের চাকরিতে যোগদান করে। আস্তে আস্তে পদোন্নতি হয়ে লোকো পাইলট হয় রীতিকা।
সে জানিয়েছে, 'ছোট থেকেই অ্যাডভেঞ্চার কাজ করতে আগ্রহী ছিলাম। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আমি রেলের লোকো পাইলটের কাজে যুক্ত হই। আমার ধারণা এর ফলে ভারতবর্ষে প্রতিটা মহিলা আমাকে দেখে এই ধরনের কাজ করার জন্য আগ্রহী হবেন। আমার ধারণা আমাকে দেখে নতুন প্রজন্মও এই আগ্রহী হবে। এর আগে আমি প্যাসেঞ্জার এবং পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়েছি।'
সাউথ ইস্টার্ন রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডেপুটি কমার্শিয়াল ম্যানেজার বিকাশ কুমার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পলিসির ফলে বর্তমান প্রজন্মের নারীরা অনেক লাভবান হয়েছেন। ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা রিতিকা তীরকি যিনি অত্যাধুনিক সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাচ্ছেন।
সকল রেল কর্মীর তরফে রীতিকার প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা রইল। আমরা প্রার্থনা করি, তার এই দীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক উচ্চ স্থানে পৌঁছবে রীতিকা।' বর্তমানে জামশেদপুরে স্বামীর সঙ্গে থাকেন রীতিকা। তাঁর এই সাফল্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও।
