আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশ স্বাধীন হওয়ার তিন বছর পর, ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০-এ কার্যকরী হয় দেশের সংবিধান। ভারত বিশ্বের দরবারে চিহ্নিত হয় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে। গণতান্ত্রিক ভারতের গৌরবময় ৭৫ বছর পার। দীর্ঘ সময়কালে গণতন্ত্রের কাঠামোর উপর আঘাত এসেছে বারেবারে, তার পরেও দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিশ্বের মানচিত্রে।
 
 ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশবাসীকে সমৃদ্ধ ভারতের জন্য কাজের বার্তা দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বার্তায় সংবিধান প্রণয়নকারীদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 
 
 দেশবাসীকে বিশেষ দিনে বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘সমস্ত দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রজাতন্ত্র দিবস ভারতের সাংবিধানিক মূল্যবোধ, সামাজিক সাম্যের প্রতি দৃঢ়তা এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার প্রতীক। এই শুভ উপলক্ষে আমি সকল মুক্তিযোদ্ধা ও সংবিধান প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা একটি শক্তিশালী প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।‘ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এই ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে, আমরা ভারতের সংবিধান উদযাপন করি, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সমাজ সংস্কার আন্দোলনের আদর্শের মধ্যে নিহিত, এটি ন্যায়বিচার, সাম্য, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের নীতিগুলিকেই ধারণ করে। আসুন আমরা এই মূল্যবোধের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনঃনিশ্চিত করি, গণতন্ত্রের জন্য হুমকির বিরুদ্ধে সজাগ থাকি এবং একটি ন্যায় ও ন্যায়সঙ্গত সমাজের জন্য কাজ চালিয়ে যাই।‘
রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, চন্দ্রবাবু নাইডু, যোগী আদিথ্যনাথ-সহ বহু নেতা-মন্ত্রী এই বিশেষ দিনে ভারতবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন।
কর্তব্যপথে এদিন সকালে নিয়ম মেনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কর্তব্য পথে ভারতীয় পতাকা উত্তোলনের পরেই শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এদিনের কর্তব্যপথের অনুষ্ঠানে দেশের ১০ হাজার বিশিষ্ট অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবং প্রায় আট লক্ষ পাস-টিকিট নিয়েছেন দেশবাসী, বিশেষ দিনে কর্তব্যপথে উপস্থিত থাকার জন্য।
