আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে গিয়ে খুন ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী। তদন্তে নেমে মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হলেন তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। তাঁর পরিকল্পনাতেই খুন হয়েছেন রাজা। সোনমকে গ্রেপ্তারের পর একের পর এক তথ্য ফাঁস করছে পুলিশ। সম্প্রতি জানা গেছে, কামাখ্যা মন্দিরে রাজাকে পুজো দেওয়ার জন্য জোর করেছিলেন সোনম। কেন জানেন?

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল সোনম ও রাজের। কিন্তু বিয়ের পরেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হননি তাঁরা। সোনম শর্ত দিয়েছিলেন, কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে তবেই শারীরিক মিলন সম্ভব। সেই কারণেই গুয়াহাটিতে পৌঁছে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, মেঘালয়ে গিয়েও পরিকল্পনা বদলে ফেলেছিলেন সোনম। নোংরিহাটে নির্জন এলাকায় রাজাকে নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিলেন। কিন্তু ২২ ও ২৩ মে সেই এলাকায় পর্যটকদের ভিড় ছিল। শেষ পর্যন্ত ওয়েইসাওডং জলপ্রপাতের কাছে রাজাকে খুন করা হয়। সোনমের চোখের সামনেই রাজাকে খুন করেন তিনি ভাড়াটে খুনি। দেহ সরাতে খুনিদের সাহায্য করেছিলেন সোনম। তারপরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। 

১১ মে বিয়ে করেই ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে গিয়েছিল নবদম্পতি। ২৩ মে থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয় পাহাড়ি খাদ থেকে। ৮ জুন গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে সোনম গ্রেপ্তার হন। পুলিশকে রাজাকে খুনের পরিকল্পনার কথা সোনম স্বীকার করেছেন বলেও জানা গেছে।