আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী শুক্রবার রথযাত্রা। এই বিশেষ উৎসবের আগে সেজে উঠছে পুরী। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই বহু মানুষ ভিড় করেন পুরীতে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন এবং মহৎ উৎসব এবার শুরু হবে জুন মাসের ২৭ তারিখে। এই উৎসবে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা জগন্নাথ মন্দির থেকে গান্ধিচা মন্দিরে রথে চড়ে যাত্রা করেন। কথিত আছে, পুরীর রাজা নিজ হাতে তিনটি রথ ঝাঁট দেন—এই প্রথা ‘ছেরা পাহঁরা’ নামে পরিচিত, যা ঈশ্বরের কাছে সমতার বার্তা বহন করে। 

পুরীর এই রথ টানেন হাজার হাজার ভক্ত, বিশাল কাঠের রথগুলি সরাসরি টেনে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের রাজপথ ধরে। এই উৎসব শুধু দেব-দেবীর যাত্রা নয়, এটি ভক্তি, ঐক্য, ভালোবাসা ও আত্মিক উৎকর্ষের প্রতীক। উল্লেখ্য, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মজিহি ২২ জুন, রবিবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রথযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন। তিনি নির্দেশ দেন, রথযাত্রাকে সম্পূর্ণভাবে ‘ঘটনাবিহীন’ রাখতে হবে। পুরীর গ্র্যান্ড রোড এবং অন্যান্য সংবেদনশীল এলাকায় ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।

প্রশাসন জানিয়েছে, রথযাত্রার প্রতিটি পর্যায়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে যাতে ভক্তরা নির্বিঘ্নে পুরী পৌঁছতে পারেন সে কারণে এই সময় ৩৬৫টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এই বিশেষ ট্রেনগুলি চলবে ওড়িশার রাউরকেলা, বিরামিত্রপুর, বঙ্গিরিপোসি, জুনাগড় রোড, বদমপাহাড়, বৌধ, জগদলপুর, বালেশ্বর, অনুগুল, গুনুপুর, রায়গড়া-সহ একাধিক এলাকা থেকে। এছাড়াও, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, ছত্তিশগড়ের গণ্ডিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের সাঁতরাগাছি থেকে পুরী পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু থাকবে মূল রথযাত্রার দিনগুলিতে।