আজকাল ওয়েবডেস্ক: হ্যারি পটারের 'চেম্বার অফ সিক্রেটস' সিনেমার কথা মনে আছে তো? দীর্ঘ ৫০ বছর পর খোলা হয়েছিল হগওয়ার্টসের গুপ্তকক্ষ। আর ঠিক সেরকমই এক গুপ্তকক্ষ দীর্ঘ ৪৬ বছর পর খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। রবিবার ঠিক দুপুর ১টা ২৮ মিনিটে খোলা হল পুরীর রত্নভাণ্ডারের দরজা। কথিত আছে এই রত্নভাণ্ডারে সযত্নে সাজানো রয়েছে বিপুল ধনরাশি। ১৯৮৫ সালে শেষবার খোলা হয়েছিল এই রত্নভাণ্ডার। ১৯৭৮ সালে ৭০ দিন ধরে বানানো হয়েছিল এই রত্নভাণ্ডার।

?ref_src=twsrc%5Etfw">July 14, 2024

তারপর থেকে বন্ধই রয়েছে এই কক্ষ। লোকসভা নির্বাচনের পর নরেন্দ্র মোদি ফের ক্ষমতায় আসেন। তারপরই ঠিক করা হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্নভাণ্ডার খোলা হবে। এদিন দুপুরে ঘরটি খোলার পর বিপুল প্রহরায় ১১ জনের একটি দল ভেতরে প্রবেশ করেন। জানা গিয়েছে, সংরক্ষণের জন্য এদিন রত্নভাণ্ডারটি খোলা হয়েছে। পাশাপশি, ভেতরে কত পরিমাণ অলঙ্কার এবং রত্ন রয়েছে তাও গুণে দেখা হতে পারে। ওড়িশার আইন মন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচরণ জানিয়েছিলেন, রত্নভাণ্ডারের ভেতর কিছু সংস্করণের কাজের জন্য মূলত এই ভাণ্ডার খোলা হচ্ছে।



ভেতরে সাপ থাকতে পারে সেই কথা ভেবে স্নেক হেল্পলাইনের দুটি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপশি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরাও উপস্থিত রয়েছেন। কথিত আছে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার সাপে পাহারা দিয়ে থাকে। মন্দিরে যে সমস্ত সোনাদানা ভক্তরা দান করেন সবই জমা পড়ে এখানে। জানা গিয়েছে, সোনা, হীরে, চুনি, পান্না ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের দুর্লভ অলঙ্কার সজ্জিত রয়েছে এখানে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮০ রকমের অলঙ্কার জমা রয়েছে এই গুপ্তকক্ষে।