আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসভায় সাংসদ হিসাবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। প্রিয়াঙ্কা হলেন গান্ধী পরিবারের তৃতীয় সদস্য যিনি সংসদে সাংসদ হিসাবে শপথ নিলেন। প্রিয়াঙ্কা ওয়েনাড লোকসভা আসন থেকে ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩১ ভোটে জিতে সংসদে পা রাখলেন। তিনি হারিয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সত্যেন মোকরিকে।

 

প্রিয়াঙ্কার ভাই রাহুল গান্ধী ২০১৯ এবং ২০১৪ সালে এই আসনটি জিতেছিলেন। তবে রাহুল চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলি আসনেও জেতেন। তিনি ওয়েনাড থেকে রায়বরেলিকে বেছে নেন। এরপরই এই আসনে ফের উপ নির্বাচন হয়। তখনই এই আসনে মনোময়ন জমা দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। ভোটের ফল বের হতেই দেখা যায় ওয়েনাডবাসী প্রিয়াঙ্কাকে হতাশ করেননি। বিপুল ভোটে দিতে সংসদে পা রাখলেন সোনিয়া কন্যা।

 

বর্তমানে সংসদে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং তাদের মা সোনিয়া গান্ধীও সাংসদ রয়েছেন। তবে সোনিয়া গান্ধী রাজ্যসভায় সাংসদ হিসাবে কাজ করছেন। রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কাকে এবার দেখা যাবে লোকসভায়। দাদা রাহুলের দেখানো পথে হেঁটেই, বৃহস্পতিবার হাতে সংবিধানের একটি সংস্করণ নিয়ে শপথ নিতে দেখা যায় ৫২ বছরের প্রিয়াঙ্কাকে। ওয়েনাড উপনির্বাচনে জিতেই প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর সংসদীয় এলাকার প্রত্যেকটি নাগরিকের কথা সংসদে পৌঁছে দেবেন। শপথ গ্রহণের মঞ্চেই কার্যত তার সূচনা করে দিলেন প্রিয়াঙ্কা।

 

এদিন তাঁর পরনে ছিল একটি কেরালা কাসাভু শাড়ি। যা শুধু ওয়েনাড নয়, সামগ্রিকভাবে দক্ষিণী ওই রাজ্যেরই ঐতিহ্য। সাদা রঙের এই শাড়ির পাড় হয় উজ্জ্বল সোনালী রঙের। যেকোনও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে কেরালার মহিলারা এই শাড়ি পরেন। এদিন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা এবং অন্যান্য সাংসদদের উপস্থিতিতে লোকসভায় শপথবাক্য পাঠ করেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকী, এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে লোকসভার গ্যালারিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা।