আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে, প্রিন্সিপালের যৌন লালসার শিকার। অভিযোগ, বাধা দিলে একরত্তি খুদেকে গলা টিপে খুন। গোটা দিন দেহ ফেলে রাখা হল গাড়িতে, পরে পুঁতে দেওয়া হল স্কুল চত্বরেই। গুজরাটের দাহোড়ের ঘটনায় শিউরে উঠছেন রাজ্যবাসী।
বৃহস্পতিবার ওই স্কুল থেকেই খুদের দেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে মৃত্যু? ৎদন্তে নামে পুলিশ। আর তদন্তেই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করেছে ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল।
ঘটনায় ওয়াকিবহাল মহলের জিজ্ঞাসা, নিজের স্কুলে, শিক্ষকের কাছেই সুরক্ষিত নয় শিশু? ঠিক কী ঘটেছিল? জানা যাচ্ছে, ছয় বছরের ওই শিশুকে সকাল ১০.২০ নাগাদ স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রিন্সিপালের গাড়িতেই তুলে দিয়েছিলেন তার মা। কিন্তু ওই খুদে আর স্কুলে পৌঁছয়নি। স্কুলে শুক্ষক-সহপাঠীরা শুরুতেই নিশ্চিত করে এই বিষয়টি।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পেরেছে, স্কুলে যাওয়ার পথে, গাড়িতে ওই ছয় বছরের শিশুকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে বছর ৫৫-এর স্কুল প্রিন্সিপাল। শিশুটি বাধা দেয়, চিৎকার শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে, খুদের গলা চেপে ধরে ওই প্রিন্সিপাল। খুদের মৃত্যু হলে, তাকে গাড়িতে দিনভর ফেলে রেখেই স্কুল করে। পরে শিশুটির ব্যাগ-জুতো ক্লাসরুমের বাইরে ফেলে রেখে, তার দেহ মাটি চাপা দেয় স্কুল চত্বরেই।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রিন্সিপাল শুরুতে নিজের অপরাধ স্বীকার না করলেও, পরে টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নিজের দোষের কথা স্বীকার করে সে।
