আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাস্তা নাকি অন্য কিছু, চোখে না দেখলে বোঝা দায়। চারদিকে শুধুই কাদা। মাটি পেরিয়ে যাতায়াতে বাধ্য হন মানুষজন। এই বেহাল রাস্তা দিয়েই গর্ভবতী মহিলাকে আ্যাম্বুলান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে মহাবিপদে পড়লেন আত্মীয়রা। শেষপর্যন্ত প্রসববেদনাগ্রস্ত ওই গর্ভবতী মহিলাকে বাঁশের ঝোলায় পায়ে হেঁটে ১০ কিলোমিটার পথ নিয়ে যাওয়া হয়। 

এই ঘটনা রবিবার বিকেলে ওড়িশার ভোজগুড়া গ্রামের। বাঁশের ঝোলায় নিয়ে যাওয়ার সময় সুনাই ভোজ নামে ওই গর্ভবতী মহিলা তীব্র প্রসববেদনা অনুভব করতে শুরু করেন।

প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করার সুনাইয়ের পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সহায়তার জন্য খাইরাপুট কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফোন করে। সঠিক সময়ে অ্যাম্বুলান্স পাঠানো হলেও, রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেটি আর গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, মাঝপথে দাঁড়িয়ে পড়ে। যা হাসপাতাল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল।

রাস্তা প্রচণ্ড বাজে হওয়ায় অ্যাম্বুলান্সটি মাঝপথে আটকে যায়। অ্যাম্বুলান্স চালক জানিয়ে দেন যে, কর্দমাক্ত, অসম্পূর্ণ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা কঠিন। ফলে গ্রামবাসী ও গর্ভবতী মহিলার আত্মীয়দেরও আর কিছু করার ছিল না। শেষ অবধি গ্রামবাসীরা বাঁশের লাঠি এবং একটি কাপড় ব্যবহার করে মাঝখানে ঝুলন্ত একটি অস্থায়ী স্ট্রেচার তৈরি করে। গর্ভবতী মহিলাকে তার উপর বসিয়ে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে বয়ে নিয়ে যায়।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">July 8, 2025

সকলে নেমে গেলে অ্যাম্বুলান্সটিও কোনও মতে তুসাই পাড়ায় পৌঁছায়। এরপর স্থানীয়রা মহিলাকে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরিত করা হয়। শেষে ওই অ্যাম্বুলান্সে করে খাইরাপুট কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হাতপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সুনাই একটি সুস্থ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।