আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে নিজের ভাষণে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশ্ন তোলেন, "নির্দিষ্ট কিছু দেশ" সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে প্রকাশ্য সমর্থন করেছে, এগুলি কি আর সহ্য করা যেতে পারে? চীনের তিয়ানজিনে ২৫তম এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে মোদি যখন এই ভাষণ দিচ্ছেন তখন সম্মেলনের মঞ্চে বসে ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ! প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে বলেছেন "সন্ত্রাসবাদ কেবল কোনও একটি দেশের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবতার জন্য হুমকি।"
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁতে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ভারত চার দশক ধরে "সন্ত্রাসবাদের আঘাত" ভোগ করেছে। সন্ত্রাসবাদী বিরোধী লড়াইয়ে নয়াদিল্লি যেসব দেশ রয়েছে এ দিন মোদি সেইসব রাষ্ট্রগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত গত চার দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের আঘাত সহ্য করছে। সম্প্রতি, আমরা পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে খারাপ রূপ দেখেছি। এই শোকের সময়ে আমাদের পাশে থাকা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।"
#WATCH | At the Shanghai Cooperation Council (SCO) Members Session in Tianjin, China, Prime Minister Narendra Modi says, "India has been bearing the brunt of the terrorism for the last four decades. Recently, we saw the worst side of terrorism in Pahalgam. I express my gratitude… pic.twitter.com/TU3cAf1ibc
— ANI (@ANI)Tweet by @ANI
সন্ত্রাসবাদকে মানবতার চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "আমাদের স্পষ্টভাবে এবং সর্বসম্মতভাবে বলতে হবে যে সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে কোনও দ্বিমুখী নীতি গ্রহণযোগ্য নয়। এই আক্রমণ (পহেলগাঁও) মানবতায় বিশ্বাসী প্রতিটি দেশ এবং ব্যক্তির কাছে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এই পরিস্থিতিতে, কিছু দেশের সন্ত্রাসবাদের প্রকাশ্য সমর্থন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আমাদের সর্বসম্মতভাবে সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করতে হবে। মানবতার প্রতি এটি আমাদের কর্তব্য।"
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারত এসসিও-র আঞ্চলিক সন্ত্রাসবিরোধী কাঠামোর (আরএটিএস) অধীনে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে, যার মধ্যে আল-কায়েদা এবং জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যৌথ তথ্য অভিযানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মোদির কথায়,
"ভারত যৌথ তথ্য অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে আল-কায়েদা এবং এর সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ তুলেছি। এতে আপনাদের সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।"
মোদি দাবি করেছেন যে, এসসিওর সদস্য হিসেবে ভারত অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, "এসসিও-র জন্য ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এস - নিরাপত্তা, সি - সংযোগ এবং ও - সুযোগ।"
আরও পড়ুন- পুজোর মাসের প্রথমেই স্বস্তি, এক ধাক্কায় অনেকটা দাম কমল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের
আরও পড়ুন- ''ব্রাহ্মণরা লাভ করছে": রাশিয়ার তেল কেনায় মোদি সরকারকে নিশানা করলেন ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য উপদেষ্টা!
