আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে যেখানে মার্কিন শুল্ক নীতি নিয়ে চারিদিকে এত গেল গেল রব উঠেছে ঠিক তখনই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বার্তা স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রী পীযুষ গয়াল। তিনি বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন মার্কিন নীতির সঙ্গে লড়াই করতে সরকার তৈরি। ভারত দীর্ঘসময়ের কথা ভেবে রেখেছে তাই এবিষয়ে চিন্তা করার কিছুই নেই। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং কৃষিতে এই বিষয়টি নিয়ে যে চিন্তার কালো মেঘ এসেছে তা নিয়ে কেউ যেন চিন্তা না করে।


এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রথমে সংসদে এবং পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ১ আগস্ট থেকে মার্কিন ক্ষেত্রে যে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত কর চাপানো হয়েছে তা নিয়ে সরকার আলোচনা করেছে। তবে সেখানে মার্কিন দেশ থেকে আসা সমস্ত দ্রব্য নিয়েও ভাবছে। 


মার্কিন দেশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ভারত থেকে আসা সমস্ত ধরণের রপ্তানিজাত দ্রব্য নিয়ে সেখানে বাড়তি শুল্কর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রয়োজনে সেখান থেকে অতিরিক্ত ফাইনের কথাও তিনি বলেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তার কারণ নেই বলে এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।


গোয়েল এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত যাতে না হয় সেদিকে নজর রেখেছে কেন্দ্র। দেশের কৃষক সমাজ থেকে শুরু করে বাকিরা যাতে এই শুল্ক নীতির গেরোতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। ফলে দেশের কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সরকার সেখানে দেশের কৃষকদের স্বার্থের দিকটি সবার আগে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকার। 


লোকসভাতে এদিন গোয়েল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন এবিষয়ে ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে এবিষয়ে চারদফা আলোচনা হয়েছে। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা হয়েছে তাই এই বিষয়টি নিয়ে ভারত কথা বলছে মার্কিন দেশের সঙ্গে। ভারত যাতে নিজের স্বার্থ রেখে কাজ করতে পারে সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে সমস্ত ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন: এসআইপি নাকি রেকারিং, কোনটি আপনাকে বেশি লাভ এনে দিতে পারে, রইল বিস্তারিত হিসেব


এদিন গোয়েলের কথায় বেশ আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ে। ভারত নিজের আর্থিক পরিস্থিতি জোরদার করেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে সেকথা তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পরবর্তী টার্গেট ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। সেদিক থেকে দেখতে হলে যা কিছু করার সরকার সেটা করবে। এটি করতে গেলে সবধরণের সংস্কার করা হবে। 


ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে যাতে বিশ্বের দরবারে নিজেকে প্রমাণ করতে পারে সেদিকে জোর দেন গোয়েল। প্রসঙ্গত, মার্কিন শুল্ক নীতির ফলে ইতিমধ্যে ভারতের শেয়ার বাজারে ধাক্কা পড়েছে। ফলে সেখানে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আগামীদিনে কী হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে সমস্ত জল্পনাতে জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবার এই শুল্ক নীতি আগামীদিনে কোন নতুন খেলে দেখাবে সেটা দেখার জন্যেই অপেক্ষা করে রয়েছে দেশবাসী।