আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০ টাকায় ৫টি ফুচকা। রাস্তার দোকানে ফুচকা খেতে গেলে আকছাড় এই দামেই খেতে হয়। জায়গা বিশেষে সেই দাম আলাদা হতে পারে। ২০, ৫০ টাকার ফুচকা খেয়ে আমরা এখন প্রায়শই অনলাইনে টাকা মিটিয়ে দিই। ফুচকাওয়ালাদের এ রকম হাজারও লেনদন হয় বছরভর। কিন্তু আয় কি তেমন হয়? হলেও বা কত? বড়জোড় লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু তামিলনাড়ির এক ফুচকা বিক্রেতার এক বছরে ইউপিআইয়ে লেনদেন হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা! এই বিপুল লেনদেনের ফলে পেয়েছেন জিএসটি নোটিশও।
তামিলনাড়ির কর দপ্তর সূত্রে খবর, ওই ফুচকা বিক্রেতার গত তিন বছরের অনলাইন লেনদেনের সমস্ত রসিদ খতিয়ে দেখে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জিএসটি আইন, ২০১৭-র অধীনে তাঁর ব্যবসাকে নথিভুক্ত করাননি। ওই নোটিশ অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৪০ লক্ষ ১১ হাজার ১৯ টাকা আয়ের পর রাজ্য কর আধিকারিকদের নজরে আসেন ওই ফুচকাবিক্রেতা। জিএসটি আইনে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় আয়ের দ্বিগুণের বেশি আয় এক বছরে করেছেন ওই ফুচকাওয়ালা। জিএসটি আইন অনুযায়ী, ওই ফুচকাবিক্রেতাকে জিএসটি ছাড়াও আরও বেশ কিছু টাকা ফাইন দিতে হতে পারে। যার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার টাকা অথবা যা জিএসটি প্রদান করবেন তার ১০ শতাংশ। গত বছর ডিসেম্বর মাসে ফুচকা বিক্রেতাকে জিএসটি সমন পাঠানো হয়েছে। সমস্ত নথি নিয়ে তাঁকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
Pani puri wala makes 40L per year and gets an income tax notice ???????? pic.twitter.com/yotdWohZG6
— Jagdish Chaturvedi (@DrJagdishChatur)Tweet by @DrJagdishChatur
ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ওই জিএসটি নোটিশ। যেই এক্স হ্যান্ডল থেকে ওই নোটিশ ভাইরাল হয়েছে সেখানে অনেকেই নিজের মতামত জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, এরকম কর ফাঁকি দেওয়ার নোটিশ পেলে ছোট ব্যবসায়ীরা অনলাইন লেনদেনে উৎসাহ হারাবেন। একজন লিখেছেন, ওই ফুচকাওয়ালার বার্ষিক আয় গড়পড়তা ইঞ্জিনিয়ার বা অন্যান্য পেশার থেকেও অনেক বেশি। একজন চার্টার্জ অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেব করে দেখিয়েছেন সব খরচ বাদ দিলে ওই ফুচকা বিক্রেতা বছরে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা জমিয়েছেন। একজন ফুচকা বিক্রেতার এই আয় দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে।
