আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের হ্যাকাররা এবার ভারতের বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে হ্যাক করতে মরিয়া। পাকিস্তানের এই হ্যাকারদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও তারা হাল ছাড়তে নারাজ। সাইবার হানা করে তারা ভারতকে কাবু করতে চাইছে। তবে ভারতের সাইবার নিরাপত্তার কাছে তাদের মুখ পুড়েছে।


ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে, পাকিস্তানের সাইবার হ্যাকার দল সাইবার গ্রুপ এবং ন্যাশনাল সাইবার ক্রিউ টার্গেট করে জম্মুর আর্মি পাবলিক স্কুলকে। পহেলগাঁওতে হওয়া জঙ্গি হামলার কোন তথ্য সেখানে রয়েছে সেটা দেখাই ছিল তাদের প্রধান কাজ। 


এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানের হ্যাকাররা আর্মি ইন্সটিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্ডিয়ার এয়ার ফোর্টের ওয়েবসাইটকেও হ্যাক করতে চেষ্টা করে। তবে সবেতেই তারা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাকিস্তানের হ্যাকাররা বর্তমানে ভারতের শিশু, প্রবীণ ব্যক্তি, সাধারণ নাগরিকদেরকে টার্গেট করছে। 


মহারাষ্ট্র সাইবার বিভাগ সম্প্রতি দেখিয়েছে প্রায় ১০ লাখের বেশি সাইবার অ্যাটাক হয়েছে ভারতে। সেখানে প্রচুর দেশের হ্যাকাররা রয়েছে। তবে পাকিস্তানের হ্যাকারদের সংখ্যা সেখানে বেশি। কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের হ্যাকাররা অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ডিজিটাল হামলা করার চেষ্টা করছে। 


পহেলগাঁও-এর বৈসরণ উপত্যকায় ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার এক সপ্তাহ পরও অভিযুক্তরা দক্ষিণ কাশ্মীরে সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র সূত্র। ওই হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারান।


সূত্র অনুযায়ী, জঙ্গিরা নিজেদের সঙ্গে খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিল, যাতে তারা দীর্ঘদিন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে পারে। হামলার সময় তারা একটি উন্নত, সিমবিহীন, এনক্রিপ্টেড কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করেছিল, যা নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি কঠিন করে তোলে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে, জঙ্গিরা পরিকল্পিতভাবে বৈসরণের মেহেদানে প্রবেশ ও বাহিরের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। হামলাকারীরা সেনা পোশাকের ছদ্মবেশে ছিল—দুজন সেনা পোশাকে ও একজন ফেরান পরে ছিল। তারা পর্যটকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। আতঙ্কিত মানুষ পালানোর চেষ্টা করলে প্রবেশপথে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা হামলা চালায়। এরপর অপারেশন শেষ করে তারা পালিয়ে যায়।