আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার লোকসভায় পেশ করা হবে এক দেশ এক ভোট বিল। বিলটি পেশ করবেন আইনমন্ত্রী অর্জুন কাম মেঘওয়াল। এরপর বিলটি জেপিসিতে পাঠানো হবে আলোচনার জন্য। দীর্ঘ আলোচনা এবং ঐক্যমত তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। 

 


বৃহস্পতিবারই এক দেশ, এক ভোট-এর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। এবার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদে এই সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি 'এক দেশ, এক ভোট' সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুমোদন করেছিল।

 


এক দেশ, এক ভোট' নিয়ে এর আগে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি। তাদের যুক্তি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের মুখে তা ভেঙে পড়তে পারে। দেশের একেক রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয় একেক সময়। একসঙ্গে ভোট করাতে হলে কোনও কোনও রাজ্যের ভোট এগিয়ে আনতে হবে। কোনও কোনও রাজ্যের ভোট পিছিয়ে দিতে হবে। যা পদ্ধতিগতভাবে চরম সমস্যার।

 


বহুদিন ধরেই 'এক দেশ, এক ভোট'-এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের যুক্তি, এর ফলে নির্বাচন করার বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে। যেমন সরকারের খরচ কমবে, তেমন রাজনৈতিক দলগুলিরও খরচ কমবে। বারবার নির্বাচনের জন্য সরকারি কাজকর্ম, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে থমকে যায়। একসঙ্গে ভোট হলে তা কমে যাবে। ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের খাটুনিও কমবে। একসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভার ভোট হলে ভোটের হার বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।  রাজনৈতিক দলগুলিও সারাবছর ভোটপ্রচারের ঝক্কি না থাকায় মানুষের কাজে অনেক বেশি মনোনিবেশ করতে পারবে।