আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুসংস্কারের নামে মহিলাদের পাশবিক অত্যাচারের কাহিনী! বিহারের মুজাফফরপুরে চার মাসের গর্ভবতী এক ২৫ বছর বয়সী মহিলাকে ভূত-প্রেত তাড়ানোর অজুহাতে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাণকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার পর, মহিলাকে তাঁর শ্বশুর স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে যান বলে যান।
ওঝা মহিলার শ্বশুরকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। এরপরই মহিলাকে একটি ঘরে নিয়ে যান এবং তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ভয় এবং সামাজিক কলঙ্কের কারণে, গর্ভবতী মহিলা প্রথমে চুপ করে ছিলেন। একবার নয়, অভিযুক্ত ওঝা দ্বিতীয়বারও একই কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাতেও খান্ত হয়নি ওঝা। তৃতীয়বার মহিলাকে দেখা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে একই কাজ করেছিলেন। এবার অবশ্য ওঝা একা নয়, তাঁর দুই সহযোগীও মহিলাটিকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
মহিলার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পরে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের পৈশাচিক ঘটনা জানানোর পরে নির্যাতিতাকে শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও তদন্ত এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মুজাফফরপুরের আরেকটি ঘটনায়, গত ২৬শে মে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় এবং পরবর্তীতে তাঁকে নির্যাতন করা হয়। মেয়েটিকে তাঁর পিসির বাড়ির কাছে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে মুজাফফরপুরের একটি ভুট্টার ক্ষেতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
নির্যাতিতাকে পাটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে তাকে ভর্তির জন্য সেখানে পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এরপর দিনই নাবালিকার মৃত্যু হয়।
মৃত মেয়েটির কাকা বীরেন্দ্র পাসওয়ান অভিযোগ করেছেন যে, তাদের শিশুটিকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল, কিন্তু হাসপাতাল প্রশাসন তাকে ভর্তি করেনি। তিনি দাবি করেছেন যে, যদি মেয়েটিকে সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি করা হত, তাহলে হয়তো তার জীবন বাঁচানো যেত।
