আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ ঘটনা তামিলনাড়ুতে। কলেজ যাওয়ার জন্য এক নার্সিং পড়ুয়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় যুবক এসে ঘিরে ধরে। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তারা এবং যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। মামলা দায়ের হয় থানায়।

 

 

গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশকে ওই ছাত্রী জানায়, থেনির পুরনো বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে ওয়াশরুমে যাওয়ার পথে একদল অচেনা লোক তাঁকে ঘিরে ধরে। তাঁর মুখ চেপে ধরে গাড়িতে তোলে দুষ্কৃতীরা। এরপর পরিত্যক্ত এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তাঁকে। এরপর ডিন্ডিগুল রেলস্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যায় অভিযুক্তেরা। ধাতস্থ হয়ে তিনি রেলওয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। 

 

 

পুলিশ তাঁকে নিয়ে প্রথমে ডিন্ডিগুল সরকারি হাসপাতালে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় ওই নার্সিং পড়ুয়ার। এরপর ওই ছাত্রী যে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন সেখানে যায় পুলিশ। সিসিটিভি চেক করতেই তাজ্জব হয়ে যায় পুলিশ। সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর ওই রেলস্টেশনে আসে পুলিশ। সেখানকার সিসিটিভিতে দেখা যায় স্টেশনে ছাত্রীটিকে একাই প্রবেশ করতে। সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর ছাত্রীটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। উঠে আসে আসল সত্যি।

 

 

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পুলিশের কাছে নার্সিং পড়ুয়া ওই ছাত্রী একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে। কোনও অপহরণ কিংবা যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেই এই কান্ড ঘটিয়েছে সেই ছাত্রী। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখানে গিয়েছিলেন পুলিশ সুপারও। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। রেলস্টেশনে প্রাথমিক বয়ান দেওয়ার পরও দ্বিতীয়বার তরুণীর বয়ান সংগ্রহের চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই তাতে অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই পরিষ্কার হয় পুরো বিষয়। 

 


খবর দেওয়া হয়েছে ছাত্রীটির বাড়িতে। কথা বলা হয়েছে ছাত্রীটির পরিচিতদের সঙ্গেও।