আজকাল ওয়েবডেস্ক: নীতীশের জোট বদল বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। বিহারর বিধানসভা ভোটের আগে কপালে চিন্তার ভাঁজ জেডিইউ শরিক বিজেপির। এসবের মধ্যেই রহস্য আর বাড়াতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। এবার সরাসরি জোট বদল নিয়ে মুখ খুললেন। কিন্তু তাতে কি আদৌ বিতর্কের অবসান হল?

রবিবার নীতীশ কুমার স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তাঁর আর জোট বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্টে লালু জমানায় বিহারের উন্নয়ন নিয়ে কোঁটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, "আমাদের আগে যাঁরা ক্ষমতায় ছিল... তারা কি কিছু করেছিল? মানুষ সূর্যাস্তের পরে নিজেদের বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পেতেন। আমি ভুলবশত তাদের সঙ্গে কয়েকবার জোটবদ্ধ হয়েছিলাম।"

নীতীশের প্রশ্ন, 'তখন মহিলাদের অবস্থা কী ছিল? আজ যে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি দেখা যাচ্ছে, যেগুলিকে আমরা 'জীবিকা' নাম দিয়েছি। কেন্দ্র আমাদের মডেলটিকে অনুকরণ করেছে এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম রেখেছে 'আজিবিকা'। আপনি কি এমন আত্মবিশ্বাসী গ্রামীণ মহিলাদের আগে দেখেছেন?" অর্থাৎ জেডিইউ প্রধান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবার অন্তত তিনি 'পল্টুরাম' হচ্ছেন না।

চলতি বছর শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা ভোট হবে। বিজেপি ঠারেঠুরে বুঝিয়েছে যে, নীতীশ কুমারকে মুখ করেই এনডিএ সে রাজ্যে প্রচারে ঝাঁপাবে। এবের মধ্যেই পুরনো সহযোগী নীতীশকে বাজিয়ে দেখতে 'দরজা খোলা' প্রস্তাব পেশ করেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। বলেছিলেন যে, "নীতীশের জন্য ইন্ডিয়ার দরজা খোলা। তাঁরও উচিত নিজের দরজা খুলে দেওয়া। তাহলে দুই প্রান্তের লোক যাতায়াত করতে পারবেন।" 

লালুর সেই প্রস্তাব সম্পূর্ণ না উড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মৃদু হাসেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই হাতজোড় করে বলেছিলেন, "আপনি কী বলছেন?" তখন আর কথা বাড়াননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। 

নীতীশের হালকা হাসিতে জল্পনা বাড়ে। পরে তাঁর আরও এক কাজে সেই জল্পনা আরও পোক্ত হয়। গত বৃহস্পতিবারই বিহারের নতুন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের শপথ অনুষ্ঠান ছিল। তাতে বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবকে দেখেই উষ্ণ অভ্যর্থনা বিনিময় করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তেজস্বীর কাঁধে হাত রেখে তাঁর প্রশংসাও করতে দেখা গিয়েছিল নীতীশকে। সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই প্রশ্ন ওঠে যে, বিহারের হচ্ছেটা কী? এ দিন সেই রহস্য শেষ করতে মুখ খুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।