আজকাল ওয়েবডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক। গত ১৮ জুন ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা নতুন নিরাপত্তামূলক বিধিনিষেধের ফলে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলির ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা আরও হ্রাস পেয়েছে। এই তথ্য বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। তবে মন্ত্রকের দাবি, “বর্তমানে ছাত্রভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে।” তিনি আরও জানান, “শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগে জরুরি প্রয়োজনে আগস্ট মাস পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক অতিরিক্ত ছাত্রভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট খোলার জন্য মার্কিন দূতাবাস চেষ্টা করছে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মার্কিন দূতাবাস তাদের জানিয়েছে যে, ছাত্রদের ভিসা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূর করতে একটি তথ্যপত্র এবং প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নোত্তর (FAQs) প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিশেষত, চিকিৎসা প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য নির্ধারিত J-1 ভিসা ক্যাটাগরিতে সফটওয়্যার নির্ভর একটি সমাধান চালু করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পূর্বে যারা এই ক্যাটাগরিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাচ্ছিলেন না, তাদের অনেকেই বর্তমানে সময় নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, ১৮ জুন ২০২৫-এ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক জারি করা একটি প্রেস নোটে যেসব নতুন শর্তাবলি দেওয়া হয়েছে— যেমন অনলাইনে উপস্থিতির বিষয়টি— তা অনেক ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারকে সমস্যায় ফেলেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদীর নতুন ইতিহাস: টানা দ্বিতীয় সর্বাধিক সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে

মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা এই বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাস এবং ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-র সঙ্গে বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এই বিষয়টি সরাসরি উত্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভিসা প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ৪০০ দিনেরও বেশি সময় লাগলে, তা সম্পর্কের জন্য সুখকর নয়।” প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং ২৪ জুলাই লোকসভায় জানান, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে, প্রতিটি ভিসা অঞ্চলের সিদ্ধান্তই জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট। যদিও ভারত মেনে নিচ্ছে এটি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রক বারবার মার্কিন প্রশাসনের কাছে ভারতের ছাত্রদের সম্মুখীন সমস্যাগুলির কথা তুলে ধরেছে। বর্তমানে শিক্ষা, গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।