আজকাল ওয়েবডেস্ক: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি এক ভারতীয় নাগরিককে বিপুল পরিমাণ কোকেনসহ গ্রেফতার করেছে নেপাল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরের বাসিন্দা। খবর অনুযায়ী যুবকের বয়স ৪৯ বছর। যুবকের নাম আব্দুস সামাদ জামাল মনসুরি। গত শুক্রবার (১১ জুলাই) মনসুরিকে বিমানবন্দরের ভেতরে পার্কিং এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশ তার ওপর নজরদারি শুরু করে। পরবর্তীতে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে প্রায় ৩ কেজি ৪০০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনসুরি আজারবাইজান থেকে প্রথমে কাতারে যায়। পরে সেখান থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে কাঠমান্ডু পৌঁছয়। খবর অনুযায়ী বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর থেকেই তার গতিবিধি সন্দেহজনক বলে মনে হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। এরপর পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালালে ৩ কেজি ৪০০ গ্রামের কোকেন পায় তার কাছ থেকে। ঘটনার জেরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অনুমান করছে, এটি আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের অংশ হতে পারে। মনসুরি ওই চক্রের একজন বাহক হিসেবে কাজ করছিল।

আরও পড়ুনঃ সামান্য ঘুমের জায়গা নিয়ে বিবাদে এ কী পরিণতি? মাত্র ১৩ বছর বয়সে ছাত্রের সঙ্গে যা ঘটল, শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও

পুলিশ আরও জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কোকেনের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকার সমান হতে পারে। এটি যে কোনো দেশে পাচার করা হলে বড় ধরনের মাদক বিতরণ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠত। মনসুরির বিরুদ্ধে এখন বিস্তৃত তদন্ত চলছে। এমনকি তার ভ্রমণ ইতিহাস, যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ও আর্থিক লেনদেন সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

নেপাল পুলিশ জানিয়েছে, দেশের ভেতরে বা বাইরে যেখান থেকেই হোক, মাদক চোরাচালান কার্যক্রম প্রতিরোধে তারা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কাজ করছে তারা।

অন্যদিকে নেপালকে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের জন্য একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাদকসহ বিদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করায় একের পর এক চোরাকারবারী ধরা পড়ছে। এবারের ঘটনাটি সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।

বর্তমানে নেপাল পুলিশ মনসুরির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, কিংবা নেপালে তার কোনো সহযোগী রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে। প্রয়োজনে আরও অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে৷