আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনের ফাঁকে অন্য এক ছবি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাড়ি সফর এমনিতেই সকলের নজরে ছিল। এরপর পুতিনের সাম্প্রতিক ভারত সফর যেন কূটনীতির এক নতুন ধারার সূচনা করেছে। যাকে এখন ‘কার ডিপ্লোম্যাসি’ বলা হচ্ছে। 


সেই ধারাবাহিকতায় জর্ডনের পর এবার আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায়ও দেখা গেল একই রকম বিশেষ কূটনৈতিক সৌজন্য।


মঙ্গলবার নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি নিজে আদ্দিস আবাবা বিমানবন্দরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে মোদিকে হোটেলে পৌঁছে দেন। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই প্রথমবার ইথিওপিয়া সফরে গেলেন।


আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ মোদিকে ইথিওপিয়ার বিভিন্ন ধরনের কফি সম্পর্কেও অবহিত করেন। এই বিশেষ আতিথেয়তা প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ইথিওপিয়ার গভীর শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। 


বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল লেখেন, “ভারত-ইথিওপিয়ার প্রাচীন বন্ধুত্ব উদযাপন করা হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে আদ্দিস আবাবায় পৌঁছেছেন। বিশেষ সৌজন্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি নিজে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ ও রঙিন অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।” 


এই সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব দিক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আবি আহমেদের মধ্যে বিস্তৃত আলোচনা হবে। ভারত ছাড়ার আগে বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, গ্লোবাল সাউথের অংশীদার হিসেবে এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করবে।


ইথিওপিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানকার সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। সেখানে তিনি ‘গণতন্ত্রের জননী’ হিসেবে ভারতের যাত্রা এবং গ্লোবাল সাউথে ভারত-ইথিওপিয়া অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরবেন। পাশাপাশি, তিনি ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। 


এর আগে মোদি জর্ডন সফরে গিয়ে সেখানকার রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সংস্কৃতি, শক্তি, জল ও ডিজিটাল পরিকাঠামোসহ একাধিক ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জর্ডনের ক্রাউন প্রিন্স আল হুসেইন নিজে গাড়ি চালিয়ে মোদিকে জর্ডন মিউজিয়ামে নিয়ে যান। এই ধারাবাহিক সৌজন্যমূলক গাড়ির সফরগুলো আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার এক নতুন বার্তা দিচ্ছে।