বীরেন ভট্টাচার্য: উত্তরপ্রদেশে নমো ভারত রেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের প্রথম সেমি হাইউস্পিড রেল সার্ভিস এই ব়্যাপিড রেল। দিল্লির সাহিবাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের দুহাই স্টেশনকে সংযুক্ত করবে এই রাপিড রেল। এরমধ্যে দিয়েই ভারতে চালু হতে চলেছে ব়্যাপিড রেল বা সেমি হাইস্পিড রেল সার্ভিস। তবে ট্রেন নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন এই ট্রেনের নাম নমো ভারত রেল রাখা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই নমো বলা হয়। ফলে এই নামকরণের মধ্য দিয়ে বিজেপির পোস্টার বয়ের প্রচার এবং রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তঃশহর যোগাযোগ ব্যবস্থা এই সেমি হাইস্পিড রেল পরিষেবার মধ্য দিয়ে উন্নত হবে। উদ্বোধনের দিনেই ট্রেনে চড়েন প্রধানমন্ত্রী মোদি । ট্রেনের যাত্রী হিসেবে থাকা স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "রাপিড রেলের প্রথম পর্বের এই রুট দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হারিয়ানার বিভিন্ন শহরকে সংযুক্ত করবে।" আগামী ১ থেকে দেড় বছরের মধ্যে দিল্লি ও মেরঠের মধ্যবর্তী এই রেল পরিষেবা পুরোদমে চালু হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। প্রথমে এই রেলের ব়্যাপিড এক্স থাকলেও, গতকাল বৃহস্পতিবার এই রেলের নাম বদলে নমো রেল করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "কেন ভারত শব্দটিই বা রাখা হল। দেশের নাম বদল করে শুধু নমো রাখা হোক। এবং সব জায়গায় সেটা ব্যবহার করা হোক।" তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র এবং রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের বক্তব্য, "২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে ভীত প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই কারণে এই সময়ে তিনি অবাক হওয়ার মত কিছু কাজ করছেন। ইন্ডিয়া জোটের কাছে পরাজিত হওয়ার আগে তিনি আত্মমগ্ন হয়ে রয়েছেন।" যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে এই ব়্যাপিড রেলে। প্রতিটি আসনে থাকছে মোবাইল চার্জার। এছাড়াও রয়েছে ওয়াইফাইয়ের সুবিধা। রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, একটি প্রিমিয়াম শ্রেণী রয়েছে এই ট্রেনে। সেখানে আরামের ব্যবস্তা, কোট রাখার জায়গা, বিলাস বহুল আসন থাকছে। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও রাখা হয়েছে একটি বোতামের সাহায্যে ট্রেনের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা, আপাতকালীন দরজা। মোট ৩০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মেরঠ রাপিড রেল করিডর। এই রেলের সাহায্যে দিল্লি থেকে মেরঠ পৌঁছানো যাবে ১ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে।