আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক ফরাসি মহিলাকে শ্লীলতাহানি। মুম্বইয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ফরাসি কনস্যুলেটের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার বান্দ্রার শের্লি রাজন রোড ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই ফরাসি মহিলা। সেই সময় স্কুটার নিয়ে আসা এক ব্যক্তি তাঁকে চরম হেনস্থা করে। এরপর দ্রুত পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই পুলিশ এই ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে। পরে এলাকার একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সুনীল ভিষ্ণী ওয়াঘেলা। ঘটনার দিন সে আচমকা স্কুটার নিয়ে এসে মহিলাকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
মহিলাটি সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় খার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংবিধান অনুযায়ী মামলা রুজু করে। অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তার গতিবিধি অনুসরণ করে এবং অবশেষে তাকে ধরাভি থেকে পাকড়াও করে।
খবর অনুযায়ী, ঘটনার সময় ব্যবহৃত অভিযুক্তের স্কুটারটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবারই অভিযুক্তকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করানো হবে। তদন্ত দ্রুত এগোচ্ছে।
অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে গুরুতর যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। খবর অনুযায়ী, তাঁর ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে এসে ২১ বছর বয়সি এক যুবতী চরম হেনস্থার শিকার হয়৷ হেনস্থার অভিযোগে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি চরম চাঞ্চল্য শহরে৷
পুলিশে করা অভিযোগে যুবতী জানিয়েছেন, গত ১৮ অক্টোবর তিনি ডাঃ প্রবীণের ক্লিনিকে যান চর্মরোগের চিকিৎসা করাতে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরীক্ষার সময় ওই চিকিৎসক তাঁকে জোর করে পোশাক খুলতে বাধ্য করেন এবং অশালীন ভাবে স্পর্শ, জড়িয়ে ধরা এবং চুমু খেতে থাকেন। যুবতীর আরও অভিযোগ, চিকিৎসক তাঁকে কুরুচিকর মন্তব্য করেন এবং পরে একটি হোটেলে দেখা করার প্রস্তাব দেন।
এই ঘটনার পরই যুবতী তাঁর পরিবারকে সব জানান। পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংবিধান (বিএনএস)-এর ধারা ৭৫ (যৌন হেনস্থা) এবং ৭৯ (নারীর শালীনতা নষ্টের উদ্দেশ্যে শব্দ, অঙ্গভঙ্গি বা কাজ)-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার জেরে বর্তমানে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
