আজকাল ওয়েবডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যে গোটা দেশ স্তম্ভিত। যশবন্ত নামের এক ৮ বছরের শিশু বাঁচার জন্য কাতর আবেদন জানায়। জেলা কালেক্টর নাগালক্ষ্মীর কাছে তার আবেগঘন আবেদন,'আমার মা চান আমরা সবাই মারা যাই, তাই আমি এখানে এসেছি।' গুন্টুর কালেক্টরেটের এই ঘটনা সম্প্রতি গায়ে শিহরণ জাগায়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সুত্রে জানা যায়, যশবন্ত তার পরিবারের আয়ের কথা উল্লেখ করে এক বিশেষ আবেদন জানায়৷ পরিবারের উপার্জনের কথা চিন্তা করে একমাত্র উৎস হিসেবে একটি ছোট টিফিন কার্ট স্থাপনের অনুমতি চায় এই শিশু। যশবন্তের মা আলাবল রাধিকা গুন্টুর শহরের ভেঙ্কটরাও পেটার বাসিন্দা। সূত্র জানা গিয়েছে আগে সরকারি হাসপাতালের কাছে একটি টিফিন কার্ট চালাতেন। পরবর্তীতে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলাকালীন বিকল্প জায়গা না দিয়েই গাড়িটি সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ তাঁর। 

পৌরসভায় বারবার আবেদন করার পরও রাধিকা অন্য কোথাও তাঁর গাড়ি রাখার অনুমতি পাননি। যশবন্ত কালেক্টরকে জানায়, কর্তৃপক্ষ তাদের গাড়ি একটি খালে ফেলে দিয়েছে। এর ফলে তার পরিবার মারাত্মক আর্থিক সংকটে ভুগছে। সে আরও জানায় পরিস্থিতির চাপে অসহায়তায় এবং দিনের পর দিন হতাশায় ভুগতে ভুগতে তার মা একসময় তার এবং নিজের জীবন শেষ করার কথা ভেবেছিলেন। 

হৃদরোগে ভুগছেন যশবন্ত। শিশুর একমাত্র কাতর আবেদন তারা বাঁচতে চায়। অনুনয় করে বলে তাদের কার্ট ফিরিয়ে দিতে৷ শিশুর এই দাবিতে কালেক্টর নাগালক্ষ্মী আবেদনটি গ্রহণ করেন। অবিলম্বে পৌর কর্পোরেশনের কাছে এই সমস্যা সমাধান করার নির্দেশ দেন। পরিবারকে জীবিকা নির্বাহের বিকল্প খুঁজে পেতে সাহায্য করার নির্দেশ দেন।