আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবারও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে। জিরিবাম জেলায় দু'দিনে মেইতেই গোষ্ঠীর তিন মহিলা ও তিন শিশুর দেহ উদ্ধারের পর মন্ত্রী, বিধায়কদের আবাসনে হামলা চালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ক্ষিপ্ত জনতা। শনিবার মধ্যরাতে হামলা চালানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনেও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বাসভবনের দরজা ভেঙে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় বাসভবনে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে লাঠিচার্জ, পরে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে এখনও পর্যন্ত ছ'জন আহত হয়েছেন। এর আগে আরও দুই মন্ত্রী ও ছ'জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনায় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে অসম-মণিপুর সীমানার জিরি নদীতে এক মহিলা ও দুই শিশুকন্যার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। জিরিঘাট এলাকায় জিরি ও বরাক নদীর সংযোগস্থল থেকে দেহগুলি উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। রাতেই দেহগুলি শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর শনিবার আরও দুই মহিলা ও এক শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দু'দিন ছ'জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ, ছ'জনেই মেইতেই সম্প্রদায়ের। ত্রাণশিবির থেকে তাদের অপহরণ করেছিল সশস্ত্র কুকি-মার জঙ্গিরা। এরপর তাদের খুন করা হয়েছে।
ফের হিংসা ছড়াতেই মণিপুর থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। চলতি সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই ও লামসাং, পূর্ব ইম্ফলের লামলাই, বিষ্ণুপুরের মইরাং, কাংপোকপির লেইমাখং এবং জিরিবাম থানা এলাকায় নতুন করে আফস্পা চালু করা হয়েছে। আফস্পা চালু হলেও, হিংসা দমন করা যায়নি। এদিকে এখনও পর্যন্ত ইম্ফলে জারি রয়েছে কারফিউ। ইম্ফল ইস্ট, ইম্ফল ওয়েস্ট, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাকচিং, কাংপোকপি, চূড়াচাঁদপুরে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।
