আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবা-মা গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। একলাই ঘরে ছিলেন ১৭ বছরের তরুণী। এই সুযোগেই ওই ঘরে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ে প্রতিবেশী এক যুবক। অভিযোগ, ওই যুবক তরুণীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। মেয়েটি চিৎকার জুড়লে জানাজানির ভয়ে যুবকটি ঘর থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু, এই বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা তার চরিত্র নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলবে। এই আশঙ্কা করে চরম লজ্জিত ছিল তরুণীটি। শেষমেষ গায়ে আগুন ধরায় সে। অগ্নিদগ্ধ তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা অতি সংকটজনক।
এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের মালিহাবাদ এলাকার। ২৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন লখনউয়ের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব। ডিসিপি বলেছেন, "অভিুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অন্তর্গত ধারা ৩৩৩/৭৪/১০৭/৬২ এবংপকসো আইনের ধারা ৭/৮ এর অধীনে এফআইআর নং ৫৬/২০২৫ নথিভুক্ত করা হয়েছে। আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।"
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা একজন গাড়ির চালক। তারা জানিয়েছেন যে, তরুণীর বাবা অসুস্থ স্ত্রী-কে নিয়ে চিকিৎসকরে কাছে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের বাড়িতে একা মেয়েটি ছিল।
মেয়েটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ছুটে এসে আগুন নেভায়। খবর দেওয়া হয়, তরুণীর বাবা-মাকে। তাঁরা এসে মেয়েকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, তার তরুণীর শরীরে ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এদিকে, পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে।
