আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাতা বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে তো অনেকেই পুণ্যের জন্য যান। ভক্তদের দান পেয়ে মাতার মন্দিরে যে সম্পত্তি তৈরি হয়েছে তার হিসেব দেখলে এবার চোখ কপালে উঠবে।


জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছে বিখ্যাত মাতা বৌষ্ণোদেবীর মন্দির। প্রতি বছর প্রচুর ভক্তরা সেখানে গিয়ে পুজো দিয়ে থাকেন। যদি কারও মনের ইচ্ছাপূরণ হয় তাহলে সেখানে গিয়ে তারা নিজেদের মাধ্যমতো দান করে আসেন। সেই দান হয়ে থাকে সোনা বা রূপো। 


তবে এবার অবাক করা তথ্য এল সকলের সামনে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে যে হিসেব সামনে এসেছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে মাতার মন্দিরে সোনা দান হয়েছে ২৭.৭ কেজি। রূপো দান হয়েছে ৩৪২৪ কেজি। এই সমস্ত তথ্য জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তারা মনে করছেন এখানে এলে মানুষের মনের ইচ্ছাপূরণ হয়ে থাকে। ফলে মানুষ এখানে এসে নিজের ইচ্ছামতো দান করে যান।

 


একটি প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা অনুসারে মাতার দরবারে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যেখানে সোনা দানের পরিমান ছিল ৯ কেজির খানিক বেশি এবং রূপো দানের পরিমান ছিল ৭৫৩ কেজির খানিক বেশি। সেখান থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই সোনা এবং রূপোর পরিমান যে হারে বেড়েছে তা এক নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। এটা সকলের কাছে অবাক করা বিষয়।

 


এই সোনা এবং রূপোর দাম যদি টাকার হিসাবে দেখা যায় তাহলে দেখা গিয়েছে ২০২০-২১ সালে যেখানে টাকার পরিমান ছিল ৬৩.৬৫ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সেই টাকার পরিমান হয়েছে ২৩১.৫০ কোটি টাকা। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে মাতার মন্দির দর্শন করতে কত ভক্তরা অকাতরে সোনা-রূপো বিলি করেছেন।

 


২০১২ সালে এখানে দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল ১.০৪ কোটি, করোনাকাল অর্থাৎ ২০২০ সালে সেই সংখ্যা নেমে আসে ১৭.২০ লক্ষ, ২০২১ সালে ফের দর্শনার্থীদের সংখ্যা হয় ৫৫.৮৮ লক্ষ, ২০২২ সালে দর্শনার্থী ছিল ৯১.২৫ লক্ষ, ২০২৩ সালে দর্শনার্থীরে সংখ্যা হয় ৯৫.২২ লক্ষ এবং ২০২৪ সালে এই সংখ্যা হয় ৯৪.৮৪ লক্ষ। সেখান থেকেই বোঝা যায় এই মন্দিরে ভক্তের সংখ্যা কতটা বাড়ছে। তাই দানের পরিমানও বাড়ছে।