আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামীকে ছেড়ে পালিয়ে যেতে অস্বীকার করায় প্রেমিকার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন এক যুবক। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে মথুরায়। ওই মহিলার দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। দুষ্কর্ম ঘটিয়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন অভিযুক্ত যুবকও।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, রেখা নামের বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন এক উমেশ নামের যুবক। মঙ্গলবার রেখার বাড়িতে বাড়িতে মহিলার ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েন উমেশ। তাঁর সঙ্গে পালিয়ে যেতে জোর করেন রেখাকে। অভিযোগ, রেখা অস্বীকার করায় তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন উমেশ। পালাতে গিয়ে বাড়ির বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন। সেই সময় আহত হয়েছেন ওই যুবকও।
ফারাহা থানার ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কোহ গ্রামের বাসিন্দা রেখা একা টিভি দেখছিলেন। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। তাঁরা সেইসময় স্কুলে গিয়েছিলেন। স্বামী সঞ্জু পেশায় কৃষক। তিনি চাষের কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। আচমকাই মঙ্গলবার দুপুরে হরিয়ানার হাসানপুর গ্রামের বাসিন্দা উমেশ পেট্রোলের জার নিয়ে রেখার বাড়িতে হাজির হন। উমেশ ঢুকেছিলেন ছদ্মবেশে। তাঁর পরনে ছিল লেহেঙ্গা। ছাদ দিয়ে তিনি বাড়িতে ঢোকেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেখা আর উমেশ দু'জনকেই ফারাহ কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দু'জনকে আগ্রার এসএন মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, উমেশ রেখার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। তখনই তাঁধের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩১ অগস্ট রেখা উমেশের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশি মধ্যস্থতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হিমাচল প্রদেশের কিন্নৌর জেলা থেকে ফিরিয়ে আনা হয়।
এই ঘটনার পর রেখা তাঁর ভুল বুঝতে পেরে উমেশের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেন। তা নিয়ে আগে থেকে ক্ষোভ ছিল উমেশের। মঙ্গলবার পালাতে রাজি না হওয়ায় রেখার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। সঞ্জয় জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত, তাঁদের জীবন বাঁচানোই অগ্রাধিকার এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
