আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীপাবলির আগের রাতেই ছারখার পরিবার। নিত্যদিনের অশান্তি থেকে রেহাই পেতে স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত। রাগের মাথায় যুবকের কীর্তিতে শিউরে উঠেছে পরিবার। সেই আঘাতেই মৃত্যু হল তাঁর স্ত্রীর। যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার এক যুবক হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে করতে স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করেছে। এই ঘটনার অভিযোগে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের নাম, প্রেমচন্দ্র গুপ্ত। মৃতার নাম, গৌতমা দেবী।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দীপাবলির আগের রাতে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। এই বচসার মাঝেই রাগের মাথায় স্ত্রীর মাথায় ও ঘাড়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে প্রেমচন্দ্র। পুলিশ আধিকারিক রাজেশ সিং জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় গৌতমা দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমচন্দ্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় যুবক স্ত্রীকে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছে। সে আরও জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই প্রায়শই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হত। গত কয়েকমাসে নিত্যদিন দাম্পত্য কলহে জেরবার ছিল সে। দীপাবলির আগের রাতেও ঝামেলা হয়। তখনই স্ত্রীকে রাগের মাথায় খুন করে সে।
আরও পড়ুন: বোনের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, আবার অন্য মেয়ের দিকেও নজর! লালসা কমাতে দেওরের গোপনাঙ্গ কেটে নিলেন বৌদি
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দাম্পত্য কলহের জেরে আরও এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। ভালবেসে বিয়ের পরেও নিত্যদিন অশান্তি। ঝামেলায় জেরবার দম্পতি। অবশেষে দুই বছরের শিশুকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চরম পদক্ষেপ করল তারা। একসঙ্গে ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল দম্পতি। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায়। শনিবার এক ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় এক দম্পতি। চরম পদক্ষেপ করার আগে রাস্তার ধারে দুই বছরের শিশুকে রেখে গিয়েছিল তারা। পুলিশ আধিকারিক দেবকরণ দেহেরিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে বুকাখেদি ড্যামে। মৃতেরা হলেন শুভম কারদাতে (২৫) ও তাঁর স্ত্রী রোশনি (২৪)।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, চার বছর আগে ভালবেসেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শুভম ও রোশনি। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা বাড়তে থাকে। নিত্যদিনের অশান্তির জেরেই চরম পদক্ষেপ করেছে দম্পতি। শনিবার সকালে ঝগড়া, অশান্তির পর সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন রোশনি। তাঁর পিছু নেন শুভম। এরপর তাঁরা ওই ড্যামের কাছে পৌঁছে যান।
এরপর শুভম তাঁর মামাকে ফোন করেন। ফোন করে অনুরোধ করেন, তাঁর সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর ওই ড্যামে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় দম্পতি। আর রাস্তার ধারেই পড়েছিল দুই বছরের শিশু। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন শুভ্রের বাবা। সেখানে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে শুভম ও রোশনির জীবন শেষ।
