আজকাল ওয়েবডেস্ক: কয়েকদিন আগের রিপোর্টে যা ছিল, ঠিক কয়েকদিন পরের রিপোর্টে অন্য তথ্য? মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেওয়ার জন্য কোটি কোটি মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। তবে মেলার মাঝেই উঠে এসেছিল বড় তথ্য। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জাতীয় পরিবেশ আদালতে যে রিপোর্ট দিয়েছিল, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল প্রয়াগরাজে মহা কুম্ভের সময় পুণ্যার্থীরা যে নদীতে স্নান সারছেন ভিড়ের মধ্যে এক চিলতে জায়গা খুঁজে নিয়ে, ওই জলে উচ্চ মাত্রার মল কলিফর্ম (মানুষ ও প্রাণীর মলমূত্রের জীবাণু)-এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অর্থাৎ, যে নদীর জলে স্নান করার জন্য ছুটে যাচ্ছেন দেশ-বিদেশের মানুষ, সেই জলেই থিকথিক করছে জীবাণু-ব্যাকটেরিয়া।
নদীর জলের গুণমান পরীক্ষা করে জানানো হয়েছিল, কুম্ভের নদীর জল আর স্নানের যোগ্যই নয়। সিপিসিবি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে একথা স্পষ্ট করা হয়েছে, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর তেমনটাই। এনজিটি বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (ইউপিপিসিবি) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।
যদিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্ট মানতে রাজি ছিলেন না একেবারেই। তাঁর জোরাল দাবি ছিল, কেবল স্নান নয়, খাওয়ার উপযোগী প্রয়াগের জল।
 
 সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সিপিসিবি’র নতুন রিপোর্ট, কুম্ভের জল স্নানের উপযোগী। ২৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে দিনের নানা সময়ে একই জায়গার জল সংগ্রহ করে এবং একই দিনে নদীর বিভিন্ন অংশের জল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে।
