আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলায় ঘটে গেল রোমহর্ষক এক ঘটনা। ভরা দিনের বেলায় হঠাৎই ঘনিয়ে এল বিপদের ছায়া। এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ, তাঁর স্ত্রী এবং দুই শিশু কন্যাকে বন্দুকের মুখে অপহরণ করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক হামলার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছত্রপুর জেলার এক গ্রামে হরিরাম পাল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আচমকা হামলা চালায় ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতীর একটি দল। পিস্তল, লাঠি, রড হাতে তাঁরা এসেছিল একটি চার-চাকা এবং একাধিক মোটরবাইকে করে।
কোনও প্ররোচনা ছাড়াই বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের উপর শুরু হয় বেপরোয়া হামলা। দুষ্কৃতীদের গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন হরিরাম নামে ওই ব্যক্তি। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এরপর তাঁর স্ত্রী ও ৭ এবং ৫ বছরের দুই কন্যাকে বন্দুকের মুখে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আতঙ্কিত লোকজন চিৎকার করছেন, গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর একদল অস্ত্রধারী দুষ্কৃতী জোর করে মহিলা ও শিশুদের গাড়িতে তুলছে।
लवकुशनगर विधानसभा खजुराहो जिला छतरपुर में दिनदहाड़े 15 बंदूकधारियों ने गांव में तांडव किया और हरिराम पाल के सिर में गोली मारी और उनकी पत्नी को एवं बच्चे को फिल्मी स्टाइल में उठा ले गए।
— RICHA PATEL ( ऋचा पटेल ) (@obcricha)
आखिर मध्यप्रदेश में गुंडा राज लागू कर दिया है मोहन सरकार ने।।@CMMadhyaPradesh pic.twitter.com/c0ZNMOpgJZTweet by @obcricha
অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটিয়েছে সঞ্জয় সিং রাজপুত নামের এক ব্যক্তি, যিনি ওই একই গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, এটি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ঘটেছে। তবে সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ধারা অনুযায়ী অপহরণ, হত্যার চেষ্টা সহ ১১টি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। বাকি ৮ জন এখনও পলাতক।
পুলিশ ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত গাড়ি ও মোটরবাইকগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। ইতিমধ্যেই ২৫টির বেশি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। দোষীদের ধরতে ৫টি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। মর্মান্তিক ঘটনার পর এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। অপহৃত মহিলা ও শিশুদের দ্রুত উদ্ধারে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
