আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুঃসময় কাটছে না বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের। মধ্যপ্রদেশ সরকার শীঘ্রই ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর অধীনে অভিনেতার পারিবারিক সম্পত্তির দখল নিতে পারে। বর্তমানে যার মূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫ সাল থেকে এই সম্পত্তির উপর দখল নেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল ভোপাল হাই কোর্ট। ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর হাই কোর্ট সইফের আবেদন খারিজ করে দিয়ে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। এর ফলে মধ্যপ্রদেশ সরকারে আর কোনও বাধা রইল না।
২০১৪ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল যে ভোপালের শেষ নবাবের সম্পত্তি ১৯৬৮ সালের ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর অধীনে অধিগ্রহণ করা হবে। ২০১৫ সালে হাই কোর্টে আবেদন করেন সইফ। রাজ্য সরকারে সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। গত ১৩ ডিসেম্বর সেই নির্দেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার জন্য সইফ এবং তাঁর পরিবারকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁর তরফ থেকে কোনও আবেদন করা হয়নি।
সূত্রের খবর, ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত বিস্তৃত সইফের সম্পত্তি। যেটির আনুমানিক বাজার দর ১৫ হাজার কোটি টাকা। ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লাহ খান। সইফ তাঁরই প্রপৌত্র। হামিদুল্লাহর কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। এর পর থেকে পতৌদিদেরই ছিল ভোপালের ওই সম্পত্তি। কিন্তু ১৯৬৮ সালে পাশ হয় ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ অনুযায়ী, ১৯৪৭-এ দেশ ভাগের পর অনেক মানুষই পাকিস্তান ও চীনে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের জমি, বাড়ি এবং শেয়ারের মতো সম্পত্তি এখনও এ দেশে রয়ে গিয়েছে। সেই সম্পত্তিগুলোকেই ‘শত্রুর সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, স্থায়ী ভাবে পাকিস্তান ও চীনে চলে যাওয়া ভারতীয়দের সম্পত্তিতে তাঁদের বংশধরদের আর কোনও অধিকার থাকবে না। সরকার সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রিও করতে পারবে। দুষ্কৃতীর হানার পর চিকিৎসা সেরে মঙ্গবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সইফ। এরই মধ্যে মধ্যপ্রদেশ সরকারে এই সিদ্ধান্ত চিন্তা বাড়াবে অভিনেতা এবং তাঁর পরিবারের।
