আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ি না জানিয়ে পিকনিকে গিয়েছিল দুই বান্ধবী। স্কুলে যাওয়ার অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা পৌঁছে যায় ঝর্ণার ধারে। সেখানেই ঘটল বিপত্তি। জলে তলিয়ে একসঙ্গে মৃত্যু হল দুই বান্ধবীর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত দুই বান্ধবী নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্কুল ফাঁকি দিয়ে ভদভদা ঝর্ণার ধারে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিল তারা। মঙ্গলবার সকালে স্কুলের উদ্দেশে রওনা দিলেও, সেখানে তারা যায়নি। বাড়ি থেকে বেরিয়েই বন্ধুদের সঙ্গে ওই ঝর্ণার ধারে পিকনিকে যায় দুই বান্ধবী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পরিবারকে জানিয়েছিল, তারা স্কুলে যাচ্ছে। এরপর চার বন্ধু মিলে ভদভদা ঝর্ণার ধারে চলে যায় পিকনিক করতে। মৃত দুই ছাত্রীর নাম, শ্রুতি যাদব ও দেবাংশী কোরি। আরও দুই বান্ধবীর সঙ্গে তারা পিকনিকে গিয়েছিল। ঝর্ণার ধারে হাঁটতে হাঁটতেই পা পিছলে যায় দুই ছাত্রীর। হুড়মুড়িয়ে জলে পড়ে যায় তারা। ক্রমেই গভীর জলে তলিয়ে যায় দুই বান্ধবী।
সেই সময় খানিকটা দূরেই ছিল বাকি দুই বান্ধবী। তারা প্রথমে বিষয়টি টের পায়নি। খানিকক্ষণ পর দুই বান্ধবীর খোঁজ শুরু করে তারা। বহু খোঁজাখুঁজির পর আতঙ্কে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু বাড়ি ফিরেও কাউকে ঘটনাটি জানায়। সন্ধ্যার পরেও দুই ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তায় খোঁজ শুরু করেন। এরপর বাকি দুই বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তারা স্বীকার করে, চারজনে মিলে পিকনিকে গিয়েছিল।
এরপর রঞ্জি থানায় অভিযোগ দায়ের করে দুই বান্ধবীর পরিবার। ডুবুরি নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে দুই বান্ধবীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিছক দুর্ঘটনা না নেপথ্যে খুনের পরিকল্পনা ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত অক্টোবরে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। পিকনিকে তুমুল হুল্লোড়। তার মাঝেই বিপত্তি। হুল্লোড় শেষে আর বাড়ি ফেরা হল না এক পরিবারের একাধিক সদস্যের। পিকনিকের মাঝেই বাঁধের জলে তলিয়ে গেলেন এক পরিবারের সাতজন সদস্য। এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনকে উদ্ধার করা গেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল কর্ণাটকের তুমাকুরুতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মার্কোনাহাল্লি বাঁধের ধারে পিকনিকে গিয়েছিলেন এক পরিবারের একাধিক সদস্য। সেখানেই খাওয়াদাওয়া, নাচগানে মেতেছিলেন সকলে। ছবিও তুলেছিলেন বাঁধে নেমে। সেই বাঁধের জলের তোড়ে সাতজন তলিয়ে যান। ছয়জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।
পুলিশ আধিকারিক অশোক কেভি জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৫ জন একসঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা ও শিশু বাঁধের জলে নেমে ছবি তুলছিলেন। আচমকাই জল ছাড়া হয় সেই ড্যামে। ক্রমেই বাড়তে থাকে জলস্তর। সেই জলের তোড়ে সকলে ভেসে যান। সাতজনেই মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যান।
স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। কয়েক ঘণ্টা পর নওয়াজ নামের এক যুবককে বাঁধ থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে আজ সকালে। দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।
