আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাম, সৈয়দ আদিল হুসেন শাহ। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬ জনের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। তিনি আদতে কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিলেন। পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে এক জঙ্গির থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। জঙ্গিরা তাঁকেও শেষ করে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আদিল অনন্তনাগ জেলার হাপতনার্দ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের মধ্যে একমাত্র তিনিই উপার্জন করে সংসার চালাতেন। মঙ্গলবার বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়াচ্ছিলেন তিনি। আচমকা কানে আসে পরপর গুলির আওয়াজ। তখন উপত্যকায় পর্যটকদের চিৎকার, চেঁচামেচি। আদিল প্রাণের ভয় না করেই এক জঙ্গির দিকে তেড়ে আসেন। ছিনিয়ে নিতে যান বন্দুক। সেই সময়েই জঙ্গির গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কিত, স্বজনহারা পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই জানান, নাম, ধর্ম, পরিচয় জিজ্ঞেস করে, বেছে বেছে হিন্দুদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এও জানা যায়, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তেবার অন্তর্গত দ্যা রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের জঙ্গিরা কাশ্মীরে হামলা চালায়। যাদের মধ্যে চারজনের ছবি প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ।
হামলার পর গোটা কাশ্মীর স্তব্ধ। পর্যটকদের দ্রুত কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ড্রোন উড়িয়ে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। গত ৩৫ বছরে প্রথমবার বুধবার কাশ্মীরে বন্ধ পালিত হচ্ছে।
বুধবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে আদিলের পরিবার জানিয়েছে, গতকাল পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়িয়ে বৈসরণে নিয়ে গিয়েছিলেন। দুপুর তিনটে নাগাদ হামলার খবর পান। এরপর আদিলকে ফোন করলেও আর কোনও সাড়া পাননি। বিকেলে একবার তাঁর ফোন বেজেছিল। কিন্তু কেউ ধরেননি। রাতে থানায় পৌঁছে জানা যায়, তাঁর মৃত্যুর খবর।
